মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পুলিশ পরিচয়ে কলেজ ছাত্রকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

দিনদুপুরে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা বাড়ি থেকেই তুলে নিয়ে গেছে আমার ছেলেকে। এরপর ৩৫ দিন পার হয়েছে। কিন্তু ছেলে কলেজছাত্র আবদুল জব্বারের খোঁজ পাইনি। থানায় গেলেও পুলিশ জিডি নেয়নি। বলেছে নাম ঠিকানা রেখে যাও। খুঁজে পেলে জানাব। কিন্তু কোনো খোঁজও আসেনি এখন পর্যন্ত। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম ও একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভ্যানচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমার ছেলে আবদুল জব্বার সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। সে কোনো দল করে না।  অথচ পুলিশ কেন তাকে তুলে নিয়ে যাবে। আর তার কোনো খোঁজই বা পাওয়া যাবে না কেন এমন প্রশ্ন করেছেন বৃদ্ধ সাজ্জাদ হোসেন। সাজ্জাদ কুমিরা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভ্যানচালক। এ সময় তার স্ত্রী সায়রা খাতুন ও ছোট ছেলে আবদুল হাকিম নয়ন উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিকে ছেলে আবদুল জব্বার বাড়ির উঠোনে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় কয়েক ব্যক্তি তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তুলে নিয়ে যান। জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘অভিযোগ আছে’। সাজ্জাদ বলেন, আমরা তালা থানায় যাই। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে। অথচ যে পুলিশ কর্মকর্তা আমার ছেলে জব্বারকে তুলে এনেছিলেন আমরা তাকে চিনতে পারি। এমনকি যে মোটরসাইকেলে তাকে তুলে নিয়ে আসা হয় সেটিও থানায় দেখতে পাই। পুলিশের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি তালা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদ হাসান। তবে মাসুদ হাসান আমার ছেলেকে তুলে আনার বিষয়টি বেমালুম অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তালা থানা পুলিশ এই নামের কোনো ছেলেকে গ্রেফতার করেনি। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি জব্বার নামের ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকে না। এলাকার লোকজনও তাই বলেছেন। তার বাবা থানায় জিডি করেননি। তিনি ছেলের সন্ধান নিতে থানায় এসেছিলেন। নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো খোঁজ আজ অবধি পাইনি।’ ওসি আরও জানান, পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ হাসান তালা থানা থেকে বদলি হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর