শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
স্কুলছাত্রীর আত্মহনন

ইভটিজার ও তার বাবা জেলহাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

ইভটিজার ও তার বাবা জেলহাজতে

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রী রোজিফা আকতার সাথী আত্মহনন ঘটনায় অভিযুক্ত পিতা-পুত্র এখন কারাগারে। গতকাল তারা বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ আত্মসমর্পণ      করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ  দেন। এদিকে পিতা আমিনুল ইসলাম মীর ও পুত্র হুজাইফ ইয়ামিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে। জানা গেছে, বখাটে হুজাইফ ইয়ামিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রবিবার দিবাগত সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে রোজিফা আকতার সাথী আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরে সাথীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত হুজাইফ ইয়ামিনকে (২০) আটক করতে রাতেই জিয়ানগরের পাশের গ্রাম হেরুঞ্জ গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইয়ামিন ও তার বাবাকে আটকের চেষ্টা করে পুলিশ।

এ সময় গ্রামবাসী পুলিশের কাজে বাধা দেয় এবং তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের ৩ কর্মকর্তা আহত হন এবং ওয়্যারলেস সেট খোয়া যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে রাতে আবারও অভিযান চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৬ জনকে আটক করা হয়।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, বখাটে ইয়ামিন ও তার বাবা আমিনুল ইসলাম মীরকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছে। পৃথক দুটি মামলায় তাদের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডের শুনানি আগামী ১৫ অক্টোবর হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, অত্মহত্যার প্ররোচনায় সাথীর বাবা গোলাম রব্বানী উপজেলার হেরুঞ্জা গ্রামের বখাটে হুজাইফ ইয়ামিন ও তার বাবা আমিনুল মীরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া দায়িত্ব পালনে বাধা ও হামলার অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা করেছেন।

সর্বশেষ খবর