শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সংসদ ভেঙে ভোট চায় সিপিবি

গণতন্ত্রী পার্টি চায় শেখ হাসিনার অধীনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সমতা আনার প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। একই সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসন ১০০-তে উন্নীত করাসহ ১৭ দফা সুপারিশ করেছে দলটি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় গণতন্ত্রী পার্টি। এ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। গতকাল নির্বাচন ভবনে দুই দলের আলাদা আলাদা সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন— সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, সহকারী সম্পাদক কাজী সাজ্জাত জহির চন্দন প্রমুখ। বৈঠক  শেষে সিপিবি সভাপতি বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক বা সহায়ক বা কোনো সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। সিপিবির প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে— তফসিল ঘোষণার আগেই বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সমতা বিধান করতে হবে; সংসদ নির্বাচনের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে ইসির অধীনে, কোনো সরকারের অধীনে নয়। এ উদ্দেশ্যে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের কর্তৃত্বকে সাংবিধানিকভাবে সঙ্কুচিত করে তার অন্তর্বর্তীকালীন কাজ তত্ত্বাবধানমূলক ও অত্যাবশ্যক রুটিন কিছু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত ও সরাসরি ভোট করতে হবে; নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ওই প্রতিনিধিকে প্রত্যাহারের বিধান করতে হবে; না ভোটের বিধান যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা; স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১% ভোটারের স্বাক্ষর তালিকা জমার বিধান বাতিল করা; জাতীয়ভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা; সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হতে হলে কোনো ব্যক্তিকে কমপক্ষে পাঁচ বছর রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য হতে হবে প্রভৃতি।

শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন চায় গণতন্ত্রী পার্টি : দুপুরে অনুষ্ঠিত সংলাপে ২১ দফা সুপারিশ করেছে গণতন্ত্রী পার্টি। দলের সভাপতি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশ আলীর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন— সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান, ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার প্রমুখ।

দলটির সভাপতি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বলেছি— একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের আলোকে বর্তমান সরকারের বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সরকার দৈনন্দিন কার্যাবলী ছাড়া নীতিগত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না। দলটির অন্য প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে— অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ থাকবে। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর