রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইসির সঙ্গে সংলাপ

বিএনপি যাচ্ছে আজ, আওয়ামী লীগ যাবে বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে আজ সংলাপে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। ১৮ অক্টোবর যাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি বলছে, নিয়ম রক্ষার জন্যই তারা এ সংলাপে যাবে। কারণ এ নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। তাদের প্রতি বিএনপির আস্থা নেই। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সব সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীসহ সর্বোচ্চ ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল এতে অংশ নিতে পারে। জানা যায়, নির্বাচনের সাত দিন আগে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, নির্বাচনকালীন সংসদ ভেঙে দেওয়া,  বিতর্কিত           ইভিএম পদ্ধতি না রাখা, ২০০৮ সালের আগে সীমানা নির্ধারণ আইন কার্যকর করাসহ অন্তত ১৬টি প্রস্তাব তুলে ধরবে বিএনপি। তবে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়ে একটি ধারণাও দেবে দলটি। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব থাকবে না। এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেব না। আমরা তাদের ধারণাটা দেব। আমরা এটা বলব যে, এটা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। রূপরেখাটা আমরা পরে দেব।’ এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। তাদের কথাবার্তাই বলে দেয় এ কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো ইচ্ছাই নেই। সরকার যেভাবে চাইবে সেভাবে তারা নির্বাচন করবে। এর পরও আমরা ইসির সংলাপে অংশ নেব। দলের পক্ষ থেকে আমাদের প্রস্তাব তুলে ধরব। আমরা ইতিবাচক রাজনীতির পক্ষে। আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সে কথাই বলছেন বার বার। এ নির্বাচন কমিশন আমাদের কোনো প্রত্যাশা পূরণ করবে না। ইসির এ সংলাপে না গেলে আওয়ামী লীগ সুযোগ নেবে। তারা বলতে থাকবে, বিএনপি তো সংলাপে বিশ্বাস করে না। এ সুযোগটা আমরা সরকারকে দিতে চাই না, দেব না।’ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে পরামর্শ পেতে ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হয় নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ। এবার দলগুলোকে নিবন্ধনক্রমের নিচ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে হিসেবে বিএনপির জন্য ১২ অক্টোবর ও আওয়ামী লীগের জন্য ১৫ অক্টোবর সংলাপের তারিখ প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু বিএনপি দলীয় কর্মসূচির কথা বলে ১৫ অক্টোবর বসতে চাইলে তাদের জন্য সেই দিনই ঠিক হয়। আর আওয়ামী লীগের অনুরোধে তাদের সংলাপের জন্য ১৮ অক্টোবর তারিখ রাখা হয়।

সর্বশেষ খবর