রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ বিএনপিতে কোন্দল, প্রার্থী একাধিকধ

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

আওয়ামী লীগ বিএনপিতে কোন্দল, প্রার্থী একাধিকধ

মাদারীপুর-২ সদর আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। তারা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। মাদারীপুর সদর এবং রাজৈর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-২  আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থীই প্রবীণ। আর বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রায় সবাই অপেক্ষাকৃত কম বয়সী। মাদারীপুরে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি দুই গ্রুপ তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে অস্ত্র নিয়ে রাজপথে নামে। তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। অপরদিকে বিএনপির জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এক গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলি জাহান এবং অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মুরাদ। দুই গ্রুপ থেকেই ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থী রয়েছে। মাদারীপুর-২ আসনে বাম সংগঠনগুলোর তেমন প্রভাব না থাকলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জামায়াতে ইসলামী মোটামুটি সক্রিয়। গত উপজেলা নির্বাচনে মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি প্রার্থী দিতে না পারলেও জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। ওই নির্বাচনে গ্রুপিংয়ের কারণে বিএনপি প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে এ আসনের রাজৈর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা মিল্টন বৈদ্য। মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এটা নিশ্চিত কর্মীদের কাছে। তিনি ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এ আসন থেকে। তার বাবাও এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন তিনি। এ ছাড়া দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবদ্দিন মোল্লা। তিনি নাছিম গ্রুপের নেতা হিসেবে জেলায় পরিচিত। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মাওলা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জাসদের সাবেক নেতা। বিএনপির সম্ভব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রদূত সরোয়ার মোল্লার নাম শোনা যাচ্ছে। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খানের নাম আলোচনায় থাকলেও প্রচার-প্রচারণায় নেই তিনি। কর্মী ও ভোটারদের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। বছরের অধিকাংশ সময় তিনি ঢাকাতেই থাকেন। সাবেক এমএলএ লুত্ফর রহমান হাওলাদারের ছেলে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান কাওছার দলের প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যের নামও শোনা যাচ্ছে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে গত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হলেও প্রায় ২৮ হাজার ভোট পেয়ে চমক দেখান।

সর্বশেষ খবর