রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কলেজছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর শহরতলির শোভারামপুর এলাকায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শিমুল মারা যাওয়ার পর লাশ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী হাসপাতাল অভ্যন্তরেই বিক্ষোভ মিছিল করে দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর এলাকার স্লুইস গেট বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যারাম খেলার সময় কলেজছাত্র সোলায়মান মিয়া শিমুলকে (২৫) স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাজারের পার্শ্ববর্তী স্থানে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একপর্যায়ে শিমুলের এক পায়ের রগ কেটে দেয় এবং কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এরপর শিমুলকে তারা বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল ভোর ৬টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত সোলায়মান মিয়া শিমুল ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায়। তার পিতার নাম ইছাহাক মিয়া। নিহত শিমুলের চাচাতো ভাই রইস মিয়া জানান, শোভারামপুর এলাকার হাবিবুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, শেখ কবিরউদ্দিন, শেখ খবিরউদ্দিন, ইসলাম, মিলন, শিমুল শেখসহ বেশ কয়েকজন এ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় সোলায়মান মিয়া শিমুল জানিয়েছেন। পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কয়েক বাসিন্দা জানান, গত কয়েক দিন আগে শোভারামপুর এলাকার সঙ্গে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কয়েকটি ছেলের মারামারির ঘটনা ঘটে। সে সময় পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কয়েকজন মিলে শোভারামপুর এলাকার একটি ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনার জের ধরেই এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা। এদিকে, এ হত্যার ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিমউদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যত্যা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ শিমুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি।

সর্বশেষ খবর