সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে

——— খায়রুল কবীর খোকন

শিক্ষার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে

ডাকসু নির্বাচন না থাকায় নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। পেশিশক্তি দিয়ে অস্ত্রের জোরে ক্যাম্পাস দখল করছে ছাত্র সংগঠনগুলো। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। ডাকসু কার্যকর না থাকায় শিক্ষার ওপর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। সাবেক এ ছাত্রনেতা আরও বলেন, এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে, নেতৃত্ব গড়ে ওঠার প্রতিষ্ঠান ছাত্র সংসদগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে ছাত্র সংসদগুলো। সংসদকে শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহিতা করতে হতো। তাদের দায়বদ্ধতা থাকত। ছাত্রছাত্রীদের নানা অধিকার নিয়ে তারা কথা বলতে বাধ্য। কিন্তু দীর্ঘদিন এসব ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় কেউ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলছে না। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা শিক্ষার ওপর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ছাত্র সংগঠন না থাকায় এর নেতা-কর্মীরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজি নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডাকসু নেতৃত্ব দিয়েছে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও ডাকসুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। মানুষের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ডাকসুর নির্বাচন অপরিহার্য। ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে, সব সংগঠনের অংশগ্রহণে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি এই ডাকসু। বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার চায় না শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ছাত্র সংসদ কার্যকর থাকুক। বিএনপি সরকার তিন দফায় চেষ্টা করেও ছাত্রলীগের অসহযোগিতার কারণে ডাকসু নির্বাচন দিতে পারেনি।

সর্বশেষ খবর