সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বসুন্ধরা পেপারের বিডিং আজ শুরু, চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে পুঁজিবাজারে ঢুকছে দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের বিডিং শুরু হবে আজ। বিকাল ৫টায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে শুরু হওয়া এই বিডিং চলবে আগামী বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বিডিংয়ে অংশ নেবেন যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হলে ২০১০ সালের পর সর্ববৃহৎ কোম্পানি হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হবে। জানা গেছে, দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য গত ২৭ আগস্ট বিডিংয়ের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি ইলেকট্রনিক বিডিংয়ের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করবে। কাট-অফ প্রাইস তথা যে দামে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটার শেয়ার বিক্রি শেষ হবে, সেই দামের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি শেষ হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফের অনুমতি চাইবে কোম্পানিটি। বিএসইসি’র অনুমতি পেলে শেয়ার আবেদন ও চাঁদা নিতে অর্থাৎ আইপিও আবেদনের সময়সূচি প্রকাশ করবে কোম্পানিটি। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। উত্তোলিত অর্থের একটি বড় অংশ কারখানার আধুনিকায়ন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ও স্থাপন করবে কোম্পানিটি। ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ৫০৮ কোটি টাকা তুলেছিল জ্বালানি খাতের একটি কোম্পানি। এরপরে ২০০ কোটি টাকার বেশি কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করেনি। সে হিসেবে বৃহৎ কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। ১৪৭ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড (জানুয়ারি ১৬ মার্চ ১৬) সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৮৬ পয়সা; শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য রয়েছে ৩০ টাকা ৯২ পয়সা। আর ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৬৩ পয়সা; এনএভি ছিল ৩০ টাকা ৬ পয়সা। ২০১৫ সাল শেষে এই কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ২৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, যা এর আগের বছরে ছিল ২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ট্রিপল এ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে এফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। বসুন্ধরা গ্রুপের কোম্পানিগুলোর মধ্যে বর্তমানে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

সর্বশেষ খবর