মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া আওয়ামী লীগ-বিএনপি

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

আসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া আওয়ামী লীগ-বিএনপি

 ঝিনাইদহ-২ (সদর) আসন বরাবরই জেলার চারটি আসনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনেই জেলার সব রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাই আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী। সম্প্রতি তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। ইতিবাচক অবস্থানে থাকা তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে দলের নীতিনির্ধারক মহল আগামীতে মনোনয়নের আশ্বাস দিয়েই আওয়ামী লীগে টেনেছেন। এ ছাড়াও মনোনয়ন চান শফিকুল ইসলাম অপু ও জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। পাশাপাশি বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মসিউর রহমান আগামী নির্বাচনে জয়ের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া এম এ মজিদ ও মীর রবিউল ইসলাম লাবলু বিএনপির মনোনয়ন চান। জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ড. হারুন-অর-রশিদ।

এ আসনের বর্তমান এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়, সভা-সমাবেশ ও জনসংযোগ শুরু করেছেন। দলীয় কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় হয়েছেন তিনি। গত নির্বাচনের স্বতন্ত্র এই প্রার্থী মনে করছেন, আগামীতে দলের মনোনয়ন পেলে তিনি খুব সহজেই নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে পারবেন। মসিউর রহমানের দাপটে বিএনপিতে প্রকাশ্যে কেউ গ্রুপিং করার সাহস না পেলেও বর্তমানে দুটি ধারা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। একটি ধারায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ মজিদ। তিনি ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে টেনে বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। মসিউর রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ ও দুর্নীতি মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত থাকায় তার বিকল্প হিসেবে মজিদকে ভাবা হচ্ছে। আবার সাবেক জেলা যুবদলের সভাপতি মীর রবিউল ইসলাম লাবলুও থেমে নেই।

জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ড. হারুন-অর-রশিদ তার দল একক কিংবা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে দলীয় নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।

সর্বশেষ খবর