ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে বর্জ্য সংগ্রহ করে ঢাকনাযুক্ত পরিবহনের মাধ্যমে তা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। এছাড়া কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবং ঢাকনাযুক্ত পরিবহনের মাধ্যমে বর্জ্য পরিবহনে নগর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সে বিষয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন  দিতে বলা হয়েছে। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গতকাল বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণে ঢাকনাযুক্ত আবদ্ধ যান ব্যবহারে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট বিধি প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিব, পরিবেশ সচিব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ১৫ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শহরে বর্জ্য ছড়াচ্ছে ৩৭৮ খোলা ট্রাক’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ১৪০টি খোলা ট্রাকে বর্জ্য পরিবহন করে। আর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) খোলা ট্রাক আছে ২৩৮টি। রাজপথে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ময়লাবাহী ট্রাকগুলো যায় দুটি গন্তব্যে। ঢাকা দক্ষিণের ময়লা নেওয়া হয় মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে এবং উত্তরের ময়লা ফলা হয় আমিনবাজারের ল্যান্ডফিলে। সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, বর্জ্যবাহী খোলা ট্রাক থেকে বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ছে। বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর ট্রাকের আশপাশে থাকা যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীরা নাক-মুখ চেপে চলছে।