শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
থামছে না বর্বরতা বখাটেপনা

ওসির প্রত্যাহার চান সোনিয়ার মা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার নবম শ্রেণির শিক্ষর্থী রহিমা আক্তার সোনিয়া হত্যা মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রত্যাহার চাইলেন তার মা সেলিনা আক্তার ও বাবা জাহেরুল হক। গতকাল দুপুরে তেঁতুলিয়ার কালারামজোতে সোনিয়াদের বাড়ির সামনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় সোনিয়ার মা সেলিনা আক্তার বলেন, তেঁতুলিয়া থানার বর্তমান ওসি দায়িত্বে থাকলে সুষ্ঠু তদন্ত হবে না। মূল ঘটনার রহস্য উদঘাটন হবে না। দুই ধর্ষক রাজন ও আতিক আইনের ফাঁকফোকরে  বেরিয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত ওসি অভিযুক্তদের কাছ থেকে সেই ভিডিওটিও উদ্ধার করতে পারেননি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার শুরু থেকে পুলিশের অসহযোগিতা, ঘটনার বিস্তারিত জেনেও ইউডি মামলা দায়ের, যথাসময়ে মামলা না নেওয়া, ঘটনার ৪ দিন পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের, রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ওসির বাধা প্রদান, ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার ও মোবাইল রেকর্ড উদ্ধার করছে পুলিশ। এ কারণে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের স্বার্থে ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে।

এ সময় সোনিয়ার মামা ফারুক হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার কাজী মাহাবুবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হান্নান, আতাউর রহমান, সাহেদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাট, তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহিন, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মামলার অভিযোগে জানা যায়, কালারামজোত গ্রামের পাথরশ্রমিক জাহেরুল ইসলামের কন্যা সোনিয়াকে তেঁতুলিয়ার মৃত সোলায়মান আলীর ছেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ডবয় রাজন বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে মোবাইলে।

প্রতারণায় সহযোগিতা দিত রাজনের বন্ধু তেঁতুলিয়ার বাশির উদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমান (৩৪)। বন্ধু আতিকও একপর্যায়ে সোনিয়াকে ধর্ষণ করে। রাজনের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা না করলে ধর্ষণের ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে লজ্জা সইতে না পেরে গত ১০ অক্টোবর সকালে সোনিয়া তার ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

সর্বশেষ খবর