শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিচারপতি জয়নুলের বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে রুলের শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদককে নিরুৎসাহিত করতে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া চিঠি নিয়ে রুলের শুনানি হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে। ২৪ অক্টোবর বেলা ২টায় পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর হাই কোর্ট রুল জারি করে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বিচারপতি জয়নুলের পক্ষে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান এবং সুপ্রিম কোর্টের চিঠি আদালতের নজরে আনা আইনজীবী বদিউজ্জামান তরফদার। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া তিন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, প্রবীর নিয়োগী ও সমিতির সাবেক সম্পাদক এ এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, একজন বিচারক সাংবিধানিক পদে ছিলেন বলে তিনি দায়মুক্তি পেতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৫ সালে যেমন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি হয় ঠিক তেমনি সুপ্রিম কোর্টের এ চিঠি। তিনি বলেন, ফুলকোর্টের সিদ্ধান্ত ছাড়া প্রধান বিচারপতি এভাবে চিঠি দিতে পারেন না। এ চিঠি দেওয়ার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির নেই। এ চিঠির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুনানিতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে বলা হয়েছে যে তদন্ত করা সমীচীন হবে না। দুদককে অনুসন্ধান বা তদন্ত বন্ধ করতে বলা হয়নি। এ চিঠির পর দুদকও থেমে থাকেনি। তারা তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টও সব তথ্য দিয়েছে। এ কারণে ওই চিঠির কার্যকারিতা নেই। প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য এ চিঠি দিয়েছেন। কারণ বিচার বিভাগ খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতি অনুরাগের বশবর্তী হয়ে দুদককে চিঠি দিয়েছেন। এ কারণে তার শপথ ভঙ্গ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত দুদককে ২৮ মার্চে পাঠানো ওই চিঠিটি নজরে আনা হলে রুল জারি করে আদালত।

সর্বশেষ খবর