শিরোনাম
শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে সাইফুজ্জামান শিখর বিএনপিতে কাফুর না কবীর মুরাদ

রাশেদ খান, মাগুরা

আওয়ামী লীগে সাইফুজ্জামান শিখর বিএনপিতে কাফুর না কবীর মুরাদ

মাগুরা-১ (সদর) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে প্রচারণা শুরু করেছেন। তারা তৃণমূলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি কেন্দ্রেও লবিং করছেন।

এ আসনের বর্তমানে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল ওয়াহ্হাব। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন চাইবেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগ ও তৃণমূলের সঙ্গে তার দূরত্ব আছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। জানতে চাইলে আবদুল ওয়াহ্হাব বলেন, এমপি হিসেবে তিনি রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করেছেন। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল তার সঙ্গে রয়েছে। মনোনয়ন পেলে আবারও তিনি বিজয়ী হবেন। দলের সঙ্গে দূরত্বের ব্যাপারে তিনি বলেন, দলের নেতাদের সঙ্গে তার কোনো দূরত্ব নেই। এ আসনে আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আছাদুজ্জামানের ছেলে সাইফুজ্জামান শিখর। বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাইফুজ্জামান শিখর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন কর্মসূচি ও রাজনৈতিক তৎপরতায় নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের আস্থার নেতা আছাদুজ্জামানের ছেলে হিসেবে জেলার রাজনীতিতে সাইফুজ্জামান শিখরের আলাদা একটি অবস্থান রয়েছে। জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তার সঙ্গে সব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, দলের মধ্যে ছোটখাটো সমস্যা থাকলেও শিখরের মনোনয়নের ব্যাপারে সবাই একাট্টা। মাগুরায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে তাকে ঘিরেই। এ ছাড়া সাইফুজ্জামান শিখরের বড় বোন কামরুন লায়লা জলি সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি। তিনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন যা তাদের পরিবারের জন্য ইতিবাচক।

জানতে চাইলে সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, জেলাবাসী চাইলে নির্বাচিত হয়ে তার বাবার মতো দেশ ও মানুষের জন্য সব ধরনের আত্মত্যাগে প্রস্তুত। জেলা অওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ তানজেল হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুণ্ডু বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে সাইফুজ্জামান শিখরের এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। অন্যদিকে দলীয় কোন্দল ও নানাভাবে বিভক্ত বিএনপির প্রায় হাফ ডজন নেতা মাগুরা-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কবীর মুরাদ, আরাফাত রহমান কোকোর মামাশ্বশুর সৈয়দ মোকাদ্দেস আলী, মাগুরা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও ২০০৮ সালে চারদলীয় জোটের প্রার্থী ইকবাল আকতার খান কাফুর, জেলা বিএনপির অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন খান। কবীর মুরাদ তার প্রার্থিতার ব্যাপারে বলেন, বিএনপির চরম দুঃসময়ে তিনি ৮ বছর মাগুরা জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার জীবনটাই অন্দোলনের মধ্য দিয়ে কেটেছে। আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়েছেন। একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে দলের জন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিএনপির অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সৈয়দ মুকাদ্দেস আলী বলেন, দলের জন্ম লগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যে কারণে তিনি মনোনয়ন পেলে দলে কোনো বিভেদ থাকবে না। এ ছাড়া শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল আলম হিরো দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা হাসান সিরাজ সুজা জানিয়েছেন, পার্টির চেয়ারম্যান ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি মাগুরা-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া জেলা জাসদের (রব) সভাপতি এটিএম মহব্বত আলী এ আসন থেকে প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর