রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নোয়াখালীতে একরাম-শাহজাহানের সঙ্গে মাঠে মেজর মান্নান

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালী

নোয়াখালীতে একরাম-শাহজাহানের সঙ্গে মাঠে মেজর মান্নান

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ ও জনসভা। আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক স্পিকার আবদুল মালেক উকিলের এলাকা হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী। আগে নোয়াখালী-৪ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও দলীয় কোন্দল আর মামলা-হামলার ভয়ে দলীয় কার্যক্রম অনেকটা সীমিত হয়ে পড়ায় কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।

অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আস্থাভাজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে  নোয়াখালী এখন আওয়মী লীগের দুর্গ হিসেবে স্থান পেয়েছে। ২০০৪ সালের ২৩ জুলাই ভোটের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন একরামুল করিম চৌধুরী। জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিটি এলাকায় ও উপকূলীয় দুর্গম চরাঞ্চলে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে দলের অবস্থান সুসংহত করেন। একই সঙ্গে দলের বিরোধ মিটিয়ে দলকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন তিনি। এতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়। ২০০৮ সালে প্রথম ও ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেন একরাম চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তাকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক জানান, একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ খুবই ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী। তিনি আরও বলেন, বিগত আট বছরে নোয়াখালী জেলায় যে উন্নয়ন হয়েছে গত ৩৯ বছরেও তা হয়নি। এটি মূলত সম্ভব হয়েছে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। অপরদিকে বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী জেলায় তাদের কার্যক্রম প্রায় সীমিত হয়ে আসছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান সব নেতা-কর্মীর কাছে জনপ্রিয় হলেও তিনি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করায় জেলায় এখন আর আগের মতো সময় দিতে পারেন না। এ ছাড়া অন্যান্য উপজেলায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে অন্তর্কোন্দল থাকার পাশাপাশি সরকারবিরোধী আন্দোলনে অনেকেই মামলা-হামলার ভয়ে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। এ আসনে তিনি তার অবস্থা শক্তিশালী করায় আওয়ামী লীগের একমাত্র দলীয় প্রার্থী তিনিই। একরাম চৌধুরী প্রতিনিয়ত গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে নিজের এবং দলের অবস্থা অটুট রাখায় এখানে আর কোনো বিকল্প প্রার্থী নেই। অপরদিকে বিএনপি থেকে প্রার্থী হবেন এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। এ ছাড়া এখানে বিকল্প ধারার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি সরকারের সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) আবদুল মান্নানও দলীয় বা জোটের প্রার্থী হতে পারেন। এ ছাড়া জাসদ থেকে সাংবাদিক ফিরোজ আলম এ আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন। জাতীয় পার্টির মধ্যে কোন্দল ও গ্রুপিং রয়েছে। সম্প্রতি দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী সভা ডেকে অনিয়মের অভিযোগে তিনজনকে অবাঞ্ছিত করেছে।

সর্বশেষ খবর