মৌসুমি আয়ের লক্ষ্যে বড়াইগ্রামের গাছিরা খেজুর রস সংগ্রহের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন। তারা এরই মধ্যে উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার সড়ক ও বসতবাড়িতে থাকা খেজুর গাছ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সরজমিনে বনপাড়া, ভবানীপুর, জোয়াড়ি, তিরাইল, জোনাইল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খজুরের রস আহরণের জন্য সড়কের পাশে ও বসতবাড়ির অধিকাংশ গাছই তারা প্রস্তুত করে ফেলেছেন। কালিকাপুর গ্রামের গাছি হাছেন আলী জানান, নিজের বাড়িতে মাত্র ৩টি খেজুরের গাছ রয়েছে। এই গাছসহ মোট ৫৬টি গাছ তিনি রস আহরণের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যা আগামী ৮/৯ দিন পর খেজুরের রস নামানোর জন্য উপযোগী হবে। তিনি আরও জানান, প্রতি গাছ চলতি মৌসুমে (কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত) ২০০ টাকায় লিজ নেওয়া হয়েছে। ভবানীপুরের গাছি কার্তিক চন্দ্র জানান, তিনিও এবার ৬৭টি গাছ লিজ নিয়ে রস আহরণের জন্য প্রস্তুত করেছেন। তবে জ্বালানি খরচ বেশি হওয়ায় রস সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন কিনা- তা নিয়ে তিনি সংশয়ে আছেন। তিনি জানান, জ্বালানির সংকট না হলে অনায়াসেই লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা বেশি গুড় উৎপাদনের জন্য কৃষকদের খেজুর গাছ লাগানোর জন্য বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকি। তারা যত বেশি খেজুর গাছ লাগাবেন তত বেশি উৎপাদন হবে। খেজুরের রস ও গুড় বিক্রি করে তারাও লাভবান হবেন।