শিরোনাম
সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগে আমু একক প্রার্থী, বিএনপিতে হাফ ডজন

এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি

আওয়ামী লীগে আমু একক প্রার্থী, বিএনপিতে হাফ ডজন

ঝালকাঠি-২ আসনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চাইছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি ষাটের দশকে বরিশাল বি এম কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমু দীর্ঘদিন এ আসনের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এ আসনে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির মরহুম জুুলফিকার আলী ভুট্টো। তার মৃত্যুর পর ২০০০ সালে উপনির্বাচনে আমির হোসেন আমু নির্বাচিত হন। তবে ২০০১ সালে তাকে হারিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে জয়লাভ করেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো। অবশ্য গত দুই নির্বাচনে আমির হোসেন আমু টানা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ চাচ্ছে আসনটি ধরে রাখতে আর বিএনপি চাচ্ছে পুনরুদ্ধার করতে। পাশাপাশি জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের শরিক দলের নেতারা প্রার্থী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক এম এ কুদ্দুস খান, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এম. রফিকুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জাসদ-ইনুর জেলা সভাপতি সুকমল ওঝা দোলন ও জেএসডি-রব জেলা সাধারণ সম্পাদক সমীরণ হালদার জোটের কাছে মনোনয়ন চাইতে পারেন। বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) মাহবুবুল হক নান্নু এ আসনে দলীয় প্রার্থী। এ ছাড়া বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন  সাবেক এমপি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া, পাকিস্তান সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার আক্তার উদ্দিন আহমেদের কন্যা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য জেবা আহমেদ খান, কেন্দ্রীয় জিসাস নেতা নুরুল ইসলাম খান বাবুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিক হাওলাদার।  বিএনপি  জোটের শরিক জাগপা সহ-সম্পাদক শেখ জামাল উদ্দিনও মনোনয়ন চাইতে পারেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী প্রার্থী হবেন। ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি করা হচ্ছে। খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত সবাই শিল্পমন্ত্রীর হাত ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, এ আসনে আমির হোসেন আমুর বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক নান্নু বলেন, ছাত্রদল থেকে যুবদল ও বিএনপির তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছি। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। আমাকে মনোনয়ন দিলে বিজয় সুনিশ্চিত। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি তৃণমূলে এখনো অনেক শক্তিশালী। নির্বাচনকে সামনে রেখে যে যার মতো করে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলের নির্দেশ আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বসন্তের কোকিলরা এসে মনোনয়ন চায়। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাহবুবুর রহমান জানান, এরশাদের উন্নয়নকে মানুষ ভুলে যায়নি। তাই নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আগামী নির্বাচনে ঝালকাঠির দুটি আসনই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর