মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতে পাঁচ কর্মকর্তা আটক

অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক বরখাস্ত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখা থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ ও ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ব্যাংকের ডিজিএমসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে আটক করেছে দুদক। গতকাল বিকালে জেলা শহর মাইজদী থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন— (নোয়াখালীর সাবেক ডিজিএম) বর্তমান সোনালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ প্রিন্সিপাল অফিসের ডিজিএম মীর আবদুল লতিফ, প্রধান কার্যালয়ের সংস্থাপন ও প্রকৌশল বিভাগের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দোহা নাহাদ, নোয়াখালীর চরবাটা শাখার সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ ও ব্যবস্থাপক মোশতাক আহম্মেদ সিদ্দিকী এবং ফেনী সদর উপজেলা কমপ্লেক্স শাখার এওজি গ্রেড-২ (ক্যাশ) এম এ রহমান। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুদকের নোয়াখালীর উপপরিচালক তালেবুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান জানান, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখায় ২০১২ সালে বিভিন্ন পদে কর্মরত পাঁচ কর্মকর্তার পারস্পরিক যোগসাজশে সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের মাধ্যমে এক কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত : প্রায় দেড় কোটি টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের এক সহকারী পরিচালককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার নাম আমিরুল ইসলাম। তিনি সমন্বিত জেলা রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন। দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. মুনীর চৌধুরী বলেন, আমিরুল ইসলামের আয়কর নথিতে তার দেওয়া সম্পদের বিবরণে অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি স্ত্রীর নামে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলায় ১ একর ৩০ শতাংশ জমি কিনেছেন। যার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকার মতো। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলার কয়েকটি মামলার তদন্তকালে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া নিজ জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তার নামে-বেনামে সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের তদন্তে জানা গেছে। এসব কারণে গতকাল তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

সর্বশেষ খবর