শিরোনাম
বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রংপুরে কদর নেই সন্ত্রাসী মাস্তানদের

শাহজাদা মিয়া আজাদ, রংপুর

রংপুরে কদর নেই সন্ত্রাসী মাস্তানদের

রংপুর সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে সন্ত্রাসী-মাস্তানদের কদর নেই। কোনো প্রার্থীর সঙ্গে এদের দেখা মিলছে না। প্রার্থীরা বলছেন, সন্ত্রাসী ও এলাকার মাস্তান নিয়ে ঘুরলে ভোটারদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ভোটাররা এটাকে ভালো চোখে দেখেন না। ফলে ‘নির্বাচন মৌসুমে’ বেকার দিন  কাটাচ্ছেন বলে সন্ত্রাসী ও মাস্তানরা জানিয়েছেন। বিগত দিনে জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এলেই সন্ত্রাসী ও মাস্তানদের কদর বেড়ে যেত। কে কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে এ নিয়ে রীতিমতো দরকষাকষি হতো। যার দর বেশি তার দিকে ঝুঁকে পড়ত সন্ত্রাসী-মাস্তানরা। তবে প্রার্থীরা এবার এদের পাত্তাই দিচ্ছেন না। কীভাবে ভোটারের সমর্থন ও মন জয় করা যায় সে কৌশল নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ভোটাররাই হচ্ছে বড় শক্তি। ভোটাররা এখন সন্ত্রাসী ও মাস্তানদের নিয়ে প্রচারণা চালানো পছন্দ করে না। যে কারণে কোনো সন্ত্রাসী ও মাস্তানকে কাছে ভিড়তে দিচ্ছি না। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেন, ভোটাররা এখন সচেতন হয়েছে। তারা প্রার্থীর অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে ভোট প্রদানের সিদ্ধান্ত নিতে শিখেছে। সে ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী-মাস্তান বা পেশিশক্তি দেখিয়ে ভোটারের সমর্থন আদায়ের সুযোগ নেই। যে কারণে ভোটারদের কদর করেই প্রচারণা চালাচ্ছি। ২৪ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান হাফিজ আহমেদ ছুট্টু বলেন, দুজন পাতিসন্ত্রাসী নির্বাচনে কাজ করার জন্য এসেছিল। তাদের মানা করে দিয়েছি। ভোটাররাই আমার বড় শক্তি। প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ভোটাররাই তা প্রতিহত করবে। সন্ত্রাসী-মাস্তানের প্রয়োজন হবে না। একাধিক সন্ত্রাসী ও মাস্তান নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো মেয়র প্রার্থীর পক্ষ থেকে ডাক পড়েনি। এক মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি ভোটের পর দেখা করতে বলেছেন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এবার ভোটের আয় ভাগ্যে জুটবে না।

মেয়র পদে আরও একজনের মনোনয়ন সংগ্রহ : দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় গতকাল মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এ নিয়ে মেয়র পদে একজন নারীসহ সাতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। অন্যরা হলেন— জাতীয় পার্টি মনোনীত মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, বিএনপির কাওসার জামান বাবলা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, আবদুল মজিদ বীরপ্রতীক, সুইটি আঞ্জুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু। গতকাল পর্যন্ত ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ১২৯ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের জন্য ৪৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর