মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

অনিরুদ্ধের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় পুলিশ

মহিউদ্দীন বললেন, সব অসত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

অপহরণের নেপথ্যে কেবল ব্যবসায়িক বিরোধের কথাই বলছেন ৮১ দিন পর ঘরে ফেরা বেলারুশের অনারারি কনস্যুলার ও ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ রায়। দায়ী করছেন তারই ব্যবসায়িক অংশীদার ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিনকে। তবে এ নিয়ে গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের কিংবা আইনগত কোনো পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি অনিরুদ্ধ। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের মধ্যে আছেন অনিরুদ্ধ।  তার বিশ্রামের প্রয়োজন। একই কথা বলেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলছেন, ‘আমরা অনিরুদ্ধ রায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।’ অন্যদিকে, অনিরুদ্ধ অপহরণের পেছনে নিজের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। গতকাল বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি করেন এই ব্যবসায়ী নেতা। গত ২৭ আগস্ট গুলশান-১-এর ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে মিটিং শেষে বের হওয়ার পর একটি গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দেশের সাতবার গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব (সিআইপি) ও বেলারুশের অনারারি কনসাল অনিরুদ্ধ রায়কে। এরপর রহস্যজনকভাবে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার শেষ রাতের দিকে তিনি তার গুলশান-১-এর বাসায় ফেরেন। গতকাল বিকালে গুলশান-১ নম্বরে অনিরুদ্ধ রায়ের বাসায় কথা হয় তার স্ত্রী শ্বাশতী রায়ের সঙ্গে। ওই সময় বাসাতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন অনিরুদ্ধ। শ্বাশতী বলেন, ও ফিরেছে এতেই আমরা খুশি। তবে ফেরার পর থেকে এক ধরনের মানসিক স্ট্রেসের মধ্যে আছে। চিকিৎসক বলেছেন, ওর বিশ্রাম প্রয়োজন। এজন্য ওকে আমরা ওই বিষয়টি নিয়ে বেশি ডিস্টার্ব করছি না। তবে কিছু কথা তো হয়েছেই, বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক পর্যায়ে অনিরুদ্ধের বরাত দিয়ে বলতে শুরু করেন তিনি। পুরো ঘটনার জন্য তিনিও অনিরুদ্ধ রায়ের ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদকে দায়ী করেন। শ্বাশতী রায় বলেন, টানা ৮১ দিন একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল অনিরুদ্ধকে। মহিউদ্দিন মাহিনের বক্তব্য : গতকাল টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মহিউদ্দিন মাহিন বলেন, অনিরুদ্ধের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। হঠাৎ এই ধরনের অভিযোগে আমি রীতিমতো নির্বাক ও স্তব্ধ হয়ে গেছি। অনিরুদ্ধ যে পাঁচটি অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট, মিথ্যা, মনগড়া এবং সৃজিত। এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য-প্রমাণ আছে যে, সে (অনিরুদ্ধ) এগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কোনো একটি সুবিধা আদায়ের জন্য চেষ্টা করছে। এটাই আসল সত্য।

সর্বশেষ খবর