শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

সালমান শাহ অপমৃত্যু মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল

আদালত প্রতিবেদক

সালমান শাহ অপমৃত্যু মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল

চিত্রনায়ক সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলা তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুল গতকাল ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরীকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত সাক্ষী হুমায়ুন কবির, আ. সালাম, দেলোয়ার হোসেন শিকদার, আ. খালেক হাওলাদার, বাদল খন্দকার (চলচ্চিত্র পরিচালক), শাহ আলম কিরণ (চলচ্চিত্র পরিচালক), মুশফিকুর রহমান গোলজার, এস এম আলোক সিকদার ও হারুন অর রশিদের কাছে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করি। সাক্ষীদের ঠিকানা নির্ণয়ের জন্য কতিপয় সাক্ষীর স্থায়ী ঠিকানায় অনুসন্ধান স্লিপ ইস্যু করি। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশে রুবির ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করি। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’ এর আগে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনঃ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।

অপমৃত্যু মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন করেন। পরে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত।

সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। সিআইডির সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচারবিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী বিচারবিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং আদালতে নারাজি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত র‍্যাবকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। পরে অন্য আদালত আদেশ দেয়, এ ঘটনা র‍্যাব তদন্ত করতে পারবে না।

 

সর্বশেষ খবর