নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মমিনপুর গ্রামে গণধর্ষণের পর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে দাবি পরিবারের। এ দিকে নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার রাত ১১টায় মাটিচাপা অবস্থায় মমিনপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী প্রবাসী হোসেন মোল্লার পরিত্যক্ত বাগানবাড়ি মাঠের গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারে চলছে মাতম। কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠে। গরিব হতদরিদ্র পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে পেলেছে যেন স্থানীয়রা। সবার একটাই দাবি ৮ বছরের তৃতীয় শ্রেণির এই শিশু হত্যার সঙ্গে স্থানীয় মাদক সেবিসহ যারাই জড়িত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নিহত শিশুর নাম রিয়া আক্তার ইতি (৮) সে গোলাম মাওলা ড্রাইভারের মেয়ে। স্থানীয় মমিনপুর তরিকুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় নিহতের মা রহিমা খাতুন পার্শ্ববর্তী পোদ্দার বাজারের একটি মোবাইল দোকানে রেখে আসা মোবাইল সেট আনতে যায়, এই সময় বাড়িতে মাকে না দেখে ৮ বছরের স্কুল ছাত্রী ইতি মাকে খোঁজাখুঁজি করে, না পেয়ে একপর্যায়ে রাস্তায় হেঁটে পোদ্দার বাজারের দিকে যাওয়ার পথে রাত প্রায় ৮টায় সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে রাতে মসজিদের মাইকে নিখোঁজের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর পার্শ্ববর্তী প্রবাসী হোসেন মোল্লার পরিত্যক্ত বাগানবাড়ি মাঠের গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ লাশ বালু দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়। লাশের মুখে ও বিভিন্ন স্থানে আঘাত দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। সোমবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে চাটখিল থানার ওসি তদন্ত আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও তবে ধর্ষণের ব্যাপারে এখনো মুখ খুলতে নারাজ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
