বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকায় পুলিশের নির্যাতনে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এএসআইর বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

রাজধানীর হাজারীবাগে পুলিশের নির্যাতনে হাজী মো. শাহ আলম (৬৫) নামে এক ট্যানারি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহতের ভাতিজা মো. লিটন জানান, ১৯ নভেম্বর রাতে হাজারীবাগ থানা পুলিশ ৮/২ টালী অফিস রোড হাজারীবাগের বাসা থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে। এরপর থানায় নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরিবারের সদস্যরা দেখতে গেলেও কাউকে দেখতে দেয়নি পুলিশ। নির্যাতনের এক পর্যায়ে থানা হাজতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন শাহ আলম। গতকাল ভোরে হাজারীবাগ থানা পুলিশ শাহ আলমকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসা দিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে। কিন্তু শাহ আলম আদালতে দাঁড়াতে পারেননি। পরে আদালত তাকে বেঞ্চে বসার অনুমতি দেয়। বিকালের দিকে শাহ আলম আদালতে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাজারীবাগ থানার এসআই আবদুল মোতালেব ও আদালতে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে ফের ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে গতকাল রাত ৮টায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, শাহ আলমের মৃত্যুর বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান।

অপহরণের দায়ে এএসআইসহ তিন জন গ্রেফতার : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপহরণের দায়ে এএসআইসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৌশলে  এক ব্যক্তিকে  অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় সদর মডেল থানায় এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। অপহরণের শিকার জাকির হোসেন ভূঁইয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলার অপর আসামি বেতবাড়িয়া এলাকার আল আমিনের স্ত্রী আঁঁখি আক্তার। এএসআই রফিকুল, কনস্টেবল শরীফুল ও আঁঁখিকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাদী ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের মসজিদ রোডে জাকির হোসেনকে আঁঁখি অসুস্থতার ভান করে তাকে একটি রিকশায় উঠিয়ে দিতে বলেন। রিকশায় উঠিয়ে দিলে আঁঁখি তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলেন। আঁঁখির কথামতো জাকির বাড়িতে  পৌঁছে দেন। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল এজহারভুক্ত আসামীরা। এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম জাকিরের চোখ বেঁধে হত্যার হুমকি দেন। এ সময় তারা জাকিরের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করলে জাকির তার আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে ৮৩ হাজার টাকা এনে দেন। আরও টাকার জন্য  যোগাযোগ করলে আত্মীয়স্বজন থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ওই রাতেই এএসআই রফিকুল, কনস্টেবল শরীফুলকে গ্রেফতার করে। গতকাল সকালে আঁঁখিকে গ্রেফতার করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন বলেন, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর