শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
আবদুল্লাহপুর-চেরাগআলী সাড়ে ৪ কিলোমিটার

শুরু হচ্ছে উড়ালসড়কের কাজ

নিজামুল হক বিপুল

ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের একটি হচ্ছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। এই প্রকল্পের আওতায়ই রাজধানীর আবদুল্লাহপুর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন সংলগ্ন মাসকাট প্লাজা থেকে গাজীপুরের চেরাগআলী পর্যন্ত নির্মাণ করা হবে ছয় লেনের উড়ালসড়ক। সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালসড়ক নির্মাণ প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই মূল কাজ শুরু হবে। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৩৫ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানজট সমস্যা দূর করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে। রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে গাজীপুর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে বিআরটিএ প্রকল্প। যার আওতায় মূল সড়কের মাঝ বরাবর দুই লেনের পৃথক সড়ক নির্মাণ করা হবে বিআরটি চলাচলের জন্য। এই প্রকল্পের আওতায়ই হাউস বিল্ডিং সংলগ্ন মাসকাট প্লাজা থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হবে। একই প্রকল্পে থাকছে আবদুল্লাহপুর-টঙ্গীর তুরাগ নদের ওপর দশ লেনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতু নির্মাণ প্রকল্প। থাকবে বিদ্যমান সড়ক পুনর্নির্মাণ এবং

ড্রেনেজ ব্যবস্থার বিষয়টিও। এই প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, সাড়ে ৪ কিলোমিটার উড়ালসড়কটি বিআরটি-এর জন্য নির্মাণ করা হলেও ছয় লেনবিশিষ্ট এই উড়ালসড়কের চারটি লেন ব্যবহূত হবে সাধারণ যানবাহন চলাচলের জন্য। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে প্রকল্পের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। প্রথমে হবে টেস্ট পাইলিং। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের জিয়াংসু প্রোভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ লিমিটেড শিগগির তাদর সাইট অফিস নির্মাণ করবে। প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরও জানান, ইউটিলিটি বিশেষ করে বিদ্যুৎ লাইন ডিমার্কের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিমের মধ্যেই বিদ্যুৎ লাইন সরানোর কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া অন্যান্য যেমন ড্রেনেজ, ওয়াসা, গ্যাসলাইন যেগুলো আছে সেগুলো চিহ্নিত করার কাজও শুরু হবে খুব শিগগির। জানা গেছে, এই উড়ালসড়কটি মাসকাট প্লাজা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে চেরাগআলী পর্যন্ত। এই সাড়ে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে কোথাও কোনো র‌্যাম থাকবে না। শুধু  যেখান থেকে শুরু হবে সেই জায়গাটিতে ১০টি লেন থাকবে। ২০২০ সালের জুন মধ্যে উড়ালসড়কটির নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায়ই তুরাগ নদের ওপর নির্মাণ করা হবে ১০ লেনবিশিষ্ট একটি সেতু। থাকবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এ ছাড়া বিদ্যমান সড়কটিও সংস্কার করা হবে। এই সেতু এবং উড়ালসড়ক নির্মাণ শেষ হলে আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যানজট থাকবে না এমনটাই প্রত্যাশ্যা প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের। প্রসঙ্গত, বিশাল এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গত ১৯ অক্টোবর সেতু বিভাগের সঙ্গে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিয়াংসু প্রোভিন্সিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৩০ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।

সর্বশেষ খবর