রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাসহ আসামি ২২৮

নাসিরনগরের ঘটনায় চার্জশিট আজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

নাসিরনগরে ফেসবুকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের আট মামলার একটির প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ। রবিবার ২২৮ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার কথা রয়েছে। ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরের গৌর মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার অভিযোগপত্রে দুই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, একাধিক আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) ফারুক মিয়া, চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি (বহিষ্কারের সুপারিশকৃত) সুরুজ আলী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জামাল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হোসেন চকদার। এখানে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও আবদুল হান্নান ছাড়া বাকি সবাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবাই এখন জামিনে মুক্ত রয়েছেন। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু জাফর জানান, মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, গত বছরের ৩০ অক্টোবর গৌর মন্দিরে হামলার ঘটনায় এ চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। এ মামলার বাদী নির্মল চৌধুরী। উল্লেখ্য, হরিণবেড় ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের রসরাজ দাস নামক এক যুবক নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কাবা শরিফের ওপর শিব মূর্তি স্থাপন করে ছবি পোস্ট দেয়। এ অভিযোগ তুলে গত বছরের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা হয়। পরে আরও কয়েক দফা একাধিক বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা আটটি মামলা করে নাসিরনগর থানায়। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দায়ের করা মামলায় প্রায় ৩০০০ হাজার লোককে আসামি করা হয়।

সর্বশেষ খবর