আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম, তার দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ একটি করে মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। তবে দিলদারের অন্য দুই মামলার আদেশ প্রদান এক মাসের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। এ কারণে তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না। এ ছাড়া অন্য কোনো মামলা না থাকায় দিলদারের দুই ভাইয়ের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানান। জামিনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমদ। দিলদারসহ তিনজনের জামিনের বিষয়ে রুল শুনানি শেষে গতকাল আদেশের জন্য ধার্য ছিল। দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতারের পর এখন কারাগারে আছেন দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। সাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেনের’ তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দারা। ১২ আগস্ট শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দিলদার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করে। পরে তিন ভাই হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। মেয়াদ শেষে বিচারিক আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তারা ২৪ অক্টোবর আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে তারা হাই কোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে গতকাল দিলদারকে রমনা থানায় এবং তার দুই ভাইকে গুলশান থানার মামলায় জামিন দেয় আদালত। দিলদারের বিরুদ্ধে উত্তরা ও ধানমন্ডি থানার মামলায় আদেশ প্রদান মুলতবি হয়েছে।