বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

শেষ হয়নি মডেল রাউধার মৃত্যুরহস্য

তদন্তে পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শেষ হয়নি মডেল রাউধার মৃত্যুরহস্য

‘ভোগ’র মডেল রাউধা আতিফের মৃত্যুর ঘটনায় মামলাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই দায়িত্ব নেওয়ার পর গতকাল তারা কাজ শুরু করে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তার মৃত্যুর রহস্য তদন্ত করা হচ্ছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পিবিআই’র কয়েকজন কর্মকর্তা রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পিবিআই রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাতে বলা হয়েছিল, রাউধা আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আদালত। আর এ জন্যই মামলাটির তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিবিআইকে।

এর আগে চারবার তার মৃত্যুর তদন্ত করা হয়েছে এবং চারবারই মৃত্যুর কারণ হিসেবে আত্মহত্যা উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ মামলার তদন্ত করে সিআইডি। এ জন্য দ্বিতীয়বারের মতো ময়নাতদন্তের জন্য তার মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশে তারা নতুন করে আবার রাউধা আতিফের মৃত্যুর কারণ তদন্ত করে দেখবে। এ কারণে মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, যাতে নতুন কোনো উপাদান পাওয়া যায়। সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন রাউধার বাবা মোহাম্মদ আতিফ নারাজি দেওয়ায় এবং পিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করার অনুমতি চাওয়ায় আদালত এ নির্দেশ দিয়েছে। রাউধা আতিফের বাবার অনুমতি প্রার্থনায় গত ২৮ নভেম্বর আদালত নতুন করে মামলার তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধারের পর ৩১ মার্চ মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই প্রতিবেদনে রাউধা আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করে মেডিকেল বোর্ড।

রাউধার মৃত্যুর ১২ দিন পর ১০ এপ্রিল তার সহপাঠী সিরাতকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ। রাজশাহীর আদালতে দায়ের করা ওই মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্তের ভারও দেওয়া হয় সিআইডিকে।

সর্বশেষ খবর