একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নড়াইল-২ (লোহাগড়া-নড়াইল সদরের আংশিক) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমেছেন। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিক জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত আটজন নেতা এলাকায় ব্যাপক তত্পরতা চালাচ্ছেন। আর বিএনপি ও তাদের জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী পাঁচজন নেতা ভোটের লড়াইয়ে তত্পর রয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লিফলেট, ব্যানার জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে শোভা পাচ্ছে। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমানকে এ আসনে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয় এবং তিনি জয়লাভ করেন। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনের আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা নতুন মুখ চাইছেন। এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম আসিফুর রহমান বাপ্পি। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আমি মনোনয়ন পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমানের পক্ষে নৌকা প্রতীকে কাজ করি। নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। এ আসনে মনোনয়ন পেতে অন্য আগ্রহীরা হলেন— বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আমিনুর রহমান হিমু, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস কে আবু বাকের, জাতীয় পার্টির ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিএনপি নড়াইলে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে পারেনি। নির্বাচনের পর দলের জেলা পর্যায়ের নেতারা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ ও হতাশা। সম্প্রতি ঘোষিত বিএনপির নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে দলের নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মীদের চাওয়া-পাওয়া হচ্ছে দুর্দিনে তাদের পাশে যে নেতা থাকবেন তেমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার। নড়াইল-২ আসনে বিএনপির তেমন কোনো প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় নেতা না থাকায় ২০-দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরিদুজ্জামান ফরহাদ আলোচনায় এসেছেন। এলাকায় তিনি সাধারণ মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এ ছাড়া বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, মেজর (অব.) মঞ্জুরুল আলম প্রিন্সের নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।