বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ

মুন্সীগঞ্জে সাতজন গুলিবিদ্ধ ফরিদপুরে আহত ১০

প্রতিদিন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গতকাল মুন্সীগঞ্জে সাতজন গুলিবিদ্ধ এবং আরও তিনজন আহত এবং ফরিদপুরে ১০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— মুন্সীগঞ্জ : সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আমঘাটা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় সাতজন গুলিবিদ্ধ হওয়াসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধরা হলেন— লিজা (৩০), মীম (১৫), খালেদা আক্তার (৩৫), ফালান (৩৫), সজল হোসেন ও অজ্ঞাত দুজন। অপর আহতরা স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকেই মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, সদর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন পাটোয়ারীর সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলতে থাকে। এ সময়ে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

ফরিদপুর : নগরকান্দার রামনগরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্দার ফকিরের সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কুদ্দুস ফকিরের বিরোধ চলছিল। গতকাল সকালে মান্দার ফকিরের সমর্থক নয়নকে মারপিট করা হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উভয় পক্ষের কয়েকশ সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন।

তারা হলেন— আকুব্বর মোল্যা (৪৫), নৈমুদ্দিন মোল্যা (৫০), রাকিব (২০), খালেক মোল্যা (৪০), রাকিব শেখ (২০), সারোয়ারজান মোল্যা (৪২), সাহেরা বেগম (৪৫), বাশার মোল্যা (৪০), হারেজ মোল্যা (৩৫), মিন্টু মোল্যা (২৭)। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে নৈমুদ্দিন মোল্যার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হামলা ও পাল্টা হামলার সময় রামনগর ইউনিয়েনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সারোয়ারজান মোল্যা, খালেক মোল্যা, হাসান মাতুব্বর, সালাম শেখ, কালাম তালুকদার, নয়ন তালুকদার, জামাল, মুশা তালুকদারের বাড়িসহ ১৫ বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নগরকান্দা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ খবর