শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

হাই কোর্টের আদেশে আটকে গেল ফোরজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফোরজি মোবাইল ফোন সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের আবেদন চেয়ে বিটিআরসির বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাই কোর্ট যে আদেশ দিয়েছিল, তা স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের  চেম্বার আদালত। বিটিআরসির আবেদনের শুনানি করে গতকাল চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ১৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। বিটিআরসির পক্ষে চেম্বার আদালতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রিটকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের পক্ষে চেম্বার আদালতে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব আলী। এর আগে গতকাল সকালে ফোরজি মোবাইল ফোন সেবার লাইসেন্স এবং তরঙ্গ নিলামের আবেদন চেয়ে বিটিআরসির  দেওয়া বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাই কোর্ট। একটি রিটের শুনানি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

রিটে বলা হয়, ওই বিজ্ঞপ্তিটি ২০০৮ সালে বিটিআরসির এক নীতিমালার দুটি নীতির পরিপন্থী। কেননা ২০০৮ সালের নীতিমালার ৪.০২ নীতি অনুসারে, তিনজনের বেশি এ লাইসেন্স (বিডব্লিউএ, ফোরজি) দেওয়া যাবে না। সরকারকে একটি দেওয়া যাবে। ৪.৬ (৩) নীতি অনুসারে মোবাইল  ফোন অপারেটররা এ জন্য যোগ্য হবে না। ২০০৮ সালের ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করে  ফোরজি লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রমজান আলী সিকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে  টেলিযোগাযোগের ফোরজি সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের নীতিমালা গত ২৯ নভেম্বর হাতে পায়  টেলিযোগাযোগ বিভাগ। ৪ ডিসেম্বর বিটিআরসি ফোরজি লাইসেন্সের আবেদন আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। তাতে তরঙ্গ নিলামের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন রেখে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে আগ্রহীদের কাছে ফোরজি সেবার লাইসেন্সের আবেদন চাওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর