শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
বাজার দর

ভরা মৌসুমেও সবজি চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৌষের শেষ দিকে ভরা মৌসুমে শীতকালীন শাক সবজির দাম চড়া। গতকাল রাজধানীর মিরপুর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ, শিম, টমেটো ও বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১৫ টাকা। এর মধ্যে লাউয়ের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। আগের সপ্তাহের ৪০ থেকে ৫০ টাকার মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ছিল।সবজি ব্যবসায়ীরা শাক সবজির দাম বাড়ার পেছনে শীতের প্রকোপে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়াকে কারণ হিসেবে দেখালেও ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন। কারওয়ান বাজারে কেনাকাটা করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, মহল্লার দোকানের তুলনায় এখানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কম পাওয়া যায়। আজ দেখছি সব ধরনের সবজির দামই বাড়তি। গত সপ্তাহে মহল্লায় যে দাম ছিল, আজ কারওয়ান বাজারেও একই দাম দেখতে পাচ্ছি।সকালে মিরপুর এক নম্বর কাঁচাবাজারে দেখা যায়, শাক সবজির বিপুল সরবরাহ থাকলেও অধিকাংশ সবজির দাম পাইকারিতেই কেজিতে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে কাঁচা পেপে, মুলা ও শালগমের দাম মোটামুটি অপরিবর্তিত আছে।খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেপে ২০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, শালগম ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতোই কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।শীতের মৌসুমে সবজির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মিরপুরের এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, যারা ট্রাকে করে জেলা শহর থেকে ঢাকায় সবজি নিয়ে আসেন সবজির বাজার তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন।

সাপ্লাইয়ে একটু শর্ট হলেই সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। শীত বাড়ার পর গত কয়েকদিন ধরে বাজার বেড়ে গেছে।

আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া বলেন, প্রচণ্ড শীতে সবজির গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ফলনও বাড়ছে না। এ ছাড়া কিছুদিন ধরে শীত বেড়ে যাওয়ায় সবজি তোলার শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে দামটা একটু বেড়েছে। বগুড়ার সবজির মোকামে গত তিন দিনে টমেটো ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা, নতুন আলু ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৬০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া লাল শাক ও পালং শাকও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। পাশাপাশি ফুল কপি ও বাঁধাকপি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বগুড়ায়। গত সপ্তাহে ভারতীয় পিয়াজ পাইকারিতে প্রতিকেজি ৬০ টাকা এবং দেশি পিয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে শুক্রবার দেশীয় পিয়াজও ৬০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে পাইকারিতে।

বাজারে মাছের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম আরেক ধাপ বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ১৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এই সপ্তাহে চলছে ১৩৫ টাকা করে। আর ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন গত সপ্তাহে ৮০ টাকা থাকলেও এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে ফার্মের ডিমের দাম ছিল প্রতি ডজন ৭৫ টাকা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর