মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
খুলনা সিটি নির্বাচন

প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় আওয়ামী লীগে অস্বস্তি

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

নির্বাচন কমিশনের ‘রোডম্যাপ’ অনুযায়ী চলতি বছরের মাঝামাঝি খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচন হওয়ার কথা। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রচারণায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা। গত দুই নির্বাচনে লড়াই হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এবং নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির মধ্যে। আগামী নির্বাচনেও এই দুজনের মধ্যেই লড়াইয়ের আভাস রয়েছে। তবে মেয়র পদে এখনো আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা প্রচারণায় থাকায় অস্বস্তিতে রয়েছেন দলের নীতি নির্ধারকরা। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান এমপি জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনের মাঠে একাধিক প্রার্থী রয়েছে। তবে এখান থেকে যারা প্রার্থী হবেন তাদের তালিকা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তাদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও মাঠপর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীরা এখন অপেক্ষায় আছেন কেন্দ্র থেকে এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে যাকে নিয়ে আমরা সহজেই মানুষের কাছে যেতে পারি এবং ভোটাররাও যেন তাকে গ্রহণ করে।’ খুলনায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সরদার আনিছুর রহমান পপলু, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক ও সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস। এদের মধ্যে তালুকদার আবদুল খালেক ২০০৮ সালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হন ও ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির কাছে পরাজিত হন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতে, তালুকদার আবদুল খালেক এবারও প্রার্থী হচ্ছেন। যদিও কেন্দ্রের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ এখনো মেলেনি। তালুকদার আবদুল খালেক এমপি বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা বাগেরহাট-রামপালে সরকারের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। তারপরও দল যদি আমাকে খুলনায় মেয়র প্রার্থী করেন, তবে দলের প্রয়োজনেই আমি নির্বাচন করব।’ এদিকে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে। তবে সিটি নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে না জানিয়ে সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। দলীয় প্রধান বিচার-বিবেচনা করে যাকে মনোনয়ন দেবেন সে-ই দলের একমাত্র প্রার্থী। তাকে নিয়েই সকলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, এটাই দলের সিদ্ধান্ত।

সর্বশেষ খবর