শিরোনাম
বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাদক ঘিরে যত অপরাধ

নেশাখোর সন্তানদের হাতে ২৭৩ বাবা-মা খুন, প্রাণ গেছে সাড়ে তিন শতাধিক নারীর, সন্তান হত্যা ১১ জন, ৩৭ মাদকাসক্তের অকালমৃত্যু

সাঈদুর রহমান রিমন

মাদক ঘিরে যত অপরাধ

অপ্রতিরোধ্য মরণঘাতী নেশা ইয়াবা এখন নানা অপরাধের প্রধান নিয়ামক। এই ভয়াল মাদক তারুণ্য, মেধা, বিবেক, লেখাপড়া, মনুষ্যত্ব সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিনষ্ট করে দিচ্ছে স্নেহ-মায়া, ভালোবাসা, পারিবারিক বন্ধন। ইয়াবায় আসক্ত সন্তানের হাতে বাবা-মা, ঘনিষ্ঠ স্বজন নির্মম হত্যার শিকার হচ্ছেন। নেশাখোর বাবা মাদক সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়ার ক্রোধে নিজ সন্তানকে খুন করছেন। নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, মাকে জবাই করা, আদরের সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনাও ঘটেছে সম্প্রতি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক অনুসন্ধানে জানা যায়, গত এক যুগে নেশাখোর ছেলেদের হাতে ২৭৩ জন বাবা-মা নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। একই সময়ে মাদকসেবী স্বামীর হাতে প্রাণ গেছে তিন শতাধিক নারীর। মাদকসেবী বাবার হাতে ১১ জন সন্তান হত্যার মতো নৃশংসতাও ঘটেছে। খোদ রাজধানীতেই মাদকসেবী মেয়ের হাতে পুলিশ অফিসার বাবা ও মা খুনের ঘটনা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হয়। অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা সেবন, কেনাবেচা ও পাচার ঘিরে প্রতিনিয়ত সংঘাত-সংঘর্ষ, বন্দুকযুদ্ধ, চাঁদাবাজি, ঘুষ লেনদেনের মতো অসংখ্য অপরাধ অপকর্ম ঘটে চলেছে। মাদককে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ ঢাকা জেলাতেই মাত্র পাঁচ বছরে দুই হাজার নারীর ঘর ভাঙার উদ্বেগজনক খবর পাওয়া গেছে। এদিকে মাদক কেনাবেচা ও আধিপত্য বজায় রাখার সংঘাতে গত এক বছরে ঘটেছে ১১৪টি খুনোখুনির ঘটনা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণির কর্মকর্তা ইয়াবাকে ব্যবহার করছেন বহুমুখী অস্ত্র হিসেবে। বিভিন্ন অভিযানে জব্দ ইয়াবা নিজস্ব সোর্সদের মাধ্যমে বিক্রি করে যেমন লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করছেন, তেমনি ইয়াবা উদ্ধারের কল্পিত নাটক সাজিয়ে টার্গেট ব্যক্তিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন চাহিদামাফিক টাকা। রাতে টহল ডিউটিকালে বা চেকপোস্টে তল্লাশির নামে নিরীহ পথচারীর পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে সীমাহীন হয়রানি চালাতেও দ্বিধা করছেন না তারা। পুলিশের একাধিক প্রতিবেদনেও ইয়াবা থেকে অপরাধ বৃদ্ধির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। ইদানীং মাদকাসক্তির কারণেই চাঁদাবাজি, ছিনতাই-রাহাজানি, ডাকাতি ও খুনখারাবির ঘটনা বেশি ঘটছে বলেও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাঝেমধ্যে অভিযান চালায় ঠিকই, তবে বেশির ভাগ অভিযানই চলে টু-পাইস কামানোর ধান্দায়। আবার অভিযানের মাধ্যমে যেসব মাদক উদ্ধার হয় এর সিংহভাগই পুলিশের হাত ঘুরে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে চলে যায়। ফলে একাধারে অভিযান যেমন চলে, তেমনি মাদকের কেনাবেচাও চলে পাল্লা দিয়ে। এর আগে র‍্যাবের অভিযানে প্রাইভেটকার এবং ৬ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হন ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এএসআই মাহফুজুর রহমান। মাহফুজের নোটবুকে পাওয়া গেছে ২৮ কোটি ৪৪ লাখ ১৩ হাজার টাকার ইয়াবা বেচাকেনার হিসাব। এতে ইয়াবার ক্রেতা-বিক্রেতা হিসেবে যে ১৪ জনের নাম পাওয়া গেছে এর অধিকাংশই পুলিশ সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহফুজ বেশ কজন পুলিশ, আইনজীবী এবং আদালতের মুহুরির ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার তথ্য দেন। নেশার সর্বগ্রাসী থাবা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে মাধ্যমিক স্কুলের গণ্ডি পর্যায়েও মাদকের ভয়াল অভিশাপ নেমে এসেছে। স্কুলপড়ুয়া নেশাখোর বন্ধুরা মিলে মহল্লা পর্যায়ে গড়ে তুলেছে কিশোর গ্যাং। যে কোনো উপায়ে নেশার জন্য বাড়তি টাকা সংগ্রহের জন্য তারাও নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। শুধু ইয়াবা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে এক-দেড় বছরের মধ্যেই টেকনাফ, উখিয়াসহ কক্সবাজারের অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তি কোটিপতি হয়ে উঠেছেন।

মাদক ঘিরে প্রতারণা-বাণিজ্য : দেশে জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ মাদকাসক্ত হওয়ায় তাদের ঘিরে সংঘবদ্ধ চক্র নানা রকম বাণিজ্য ধান্দায় মেতে উঠেছে। মাদক সরবরাহ, ভেজাল মাদক তৈরি, পুলিশের ধরা-ছাড়া বাণিজ্য, মাদকবিরোধী সামাজিক কর্মকাণ্ড চালানোসহ নানা নামে নানা কৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।  মাদকাসক্ত নিরাময়ের নামেও একটি চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। অথচ ওই সব কেন্দ্রের অধিকাংশের বৈধ কোনো অনুমোদন নেই, নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। এসব স্থান থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারার নজিরও নেই। সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আখ্যায়িত করে কেউ কেউ সমাজসেবা অধিদফতর, ঢাকা সিটি করপোরেশন বা মানবাধিকার সংগঠনগুলো থেকে অনুমোদন নিয়েই প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছে। রাজধানীসহ সারা দেশে মাদক নিরাময়ের নামে এমন ১২ শতাধিক প্রতিষ্ঠান অভিনব বাণিজ্য ফেঁদে বসেছে। ৪ ফুট বাই ১০ ফুট আয়তনের একেকটি বদ্ধ কক্ষে মাদকাসক্তকে মাসের পর মাস আটক রেখে নানা রকম বর্বরতা চালানো হচ্ছে। এ অমানবিকতার বিল বাবদ একেক পরিবার থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকা।

গডফাদার কবিরের মাদক সাম্রাজ্য : গত প্রায় দেড় যুগের মাদক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির এখন রাজধানীতে মাদক সাম্রাজ্যের একক অধিপতি হয়ে উঠেছেন। ঢাকার হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ঘোষিত-অঘোষিত বার থেকে শুরু করে মাদক ব্যবহারকারী প্রতিটি পয়েন্টেই হুমায়ুন কবির ওরফে ‘বিএনপি কবির’ ব্যাপকভাবে পরিচিত। মাদকের চালান বুঝে নেওয়া, গুদামজাত রাখা এবং তা সরবরাহের বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করতে বেতনভুক্ত শতাধিক কর্মচারী রয়েছে তার। এ ছাড়া নিজের নিরাপত্তাসহ মাদক-বাণিজ্য নির্বিঘ্ন রাখতে আরও ২০-২২ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনীও গড়ে তুলেছেন হুমায়ুন কবির। পেশাদার অপরাধীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা তার এ সন্ত্রাসী বাহিনী খুবই ভয়ঙ্কর। তারা কবিরের আঙ্গুলি হেলনে যখন যে-কোথাও হামলা চালানো, বন্দুকযুদ্ধ, খুনখারাবি ঘটানোতে দক্ষ। বিএনপি কবিরের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে রয়েছেন স্মার্ট সেলিম ও চশমা জাহাঙ্গীর। এর মধ্যে চশমা জাহাঙ্গীর নিয়ন্ত্রণ করেন ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজার বাণিজ্য, অন্যদিকে বিদেশি মদ ও বিয়ার বেচাকেনা দেখভাল করেন স্মার্ট সেলিম। তাদের মূল সহযোগীরা হচ্ছেন সুলতান, মোজাম্মেল, ফরিদ, আলম, দুলাল, বেলাল, ফারুক, মিজান, মোতাহার, শাহেদসহ ১০-১২ জন। এদের অনেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে বেড়ান। থানা-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদক, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী ঘটনার অভিযোগে হুমায়ুন কবির ওরফে বিএনপি কবিরের বিরুদ্ধে গুলশান ও বনানী থানায় ১৬টি মামলা রয়েছে। তার সিন্ডিকেট সদস্যদের নামে আছে অর্ধশতাধিক মামলা। ১০টিরও বেশি ওয়ারেন্ট থাকা সত্ত্বেও তারা রহস্যজনক কারণে গ্রেফতারমুক্ত থাকেন এবং যথারীতি দাপটের সঙ্গেই মাদক-বাণিজ্য পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বনানী থানা থেকে সদ্য বদলি হওয়া একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অপরাধকর্মে খুবই ধূর্ত কবিরের মাদক চালানগুলো ধরা বড়ই কঠিন। কারণ তার মাদকের বড় চালানগুলো মিয়ানমার দূতাবাসের গাড়িতে আনা-নেওয়া করা হয়। গোডাউন হিসেবেও ব্যবহার হয় দূতাবাস কর্মচারীদের ফ্ল্যাট। মাদক পাচারের ক্ষেত্রে দূতাবাসের দুটি গাড়িকেও চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এর একটি সবুজ লুসিডা ব্র্যান্ডের গাড়ি, অন্যটি সোনালি রঙের হানড্রেড কার। বনানী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ দুটি গাড়ি ব্যবহার করে প্রতিদিনই ওয়্যারহাউসগুলো থেকে দেদার মাদক আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। কিন্তু দূতাবাসের গাড়ি হওয়ায় থানা পুলিশ গাড়ি দুটিতে তল্লাশি চালাতে পারছে না। কবির সিন্ডিকেটের মাদক চালান লুকিয়ে রাখতেও বনানীতে অবস্থিত মিয়ানমার দূতাবাসের কর্মচারী কোয়ার্টারগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে বনানীর ১, ৭ ও ৯ নম্বর রোডে বসবাসকারী দূতাবাস কর্মচারীদের আবাসিক ফ্ল্যাটগুলো রীতিমতো মাদকের গুদামে পরিণত করার অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, ভোলা থেকে ঢাকায় এসে রিকশাচালকের পেশায় কর্মজীবন শুরু করলেও হুমায়ুন কবির মাদক-বাণিজ্যে জড়িয়ে নিজেকে আমূল বদলে নিয়েছেন। কবিরের এই মাদক-বাণিজ্য চলছে ১৭ বছর ধরে। শতাধিক সেলসম্যানের মাধ্যমে তিনি দৈনিক ২০ লক্ষাধিক টাকার মাদক বিক্রি করে থাকেন। এর মধ্যেই তিনি শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ঢাকার গুলশান, বনানী, নিকুঞ্জে পাঁচটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের মালিক কবির ভাটারা থানা-সংলগ্ন মার্কিন দূতাবাসের অদূরে ৯ কাঠা জায়গার ওপর ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছেন। গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার হারিকেন রোডেও তিনি গড়ে তুলেছেন ৯ তলা বিলাসবহুল বাড়ি। হাল ফ্যাশনের দামি ব্র্যান্ড ‘কেরেলাক্স’ গাড়িতে চলাফেরা করেন তিনি। প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নানা বাণিজ্য আর ব্যাংক ব্যালেন্সেও কমতি নেই তার। নিজ জেলা ভোলার রুহিতা গাজীবাড়ি এলাকায়ও জমি কিনে, জাহাজ কিনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গাজী হুমায়ুন কবির।

একটি পাড়ায় মাদকের ভয়াল চিত্র : রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল-ঘেঁষা মুগদাপাড়ায় ইতিপূর্বে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক অনুসন্ধানে মাদকের ভয়াল চিত্র বেরিয়ে আসে। সেখানে মাত্র পাঁচ বছরেই ৩৭ জন মাদকসেবীর করুণ মৃত্যু ঘটে। গুরুতর অসুস্থ আরও ৪২ জন। এদের মধ্যে ১৯ জন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রীতিমতো অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়েছেন। অন্তত ২৬ জন গৃহিণী তাদের নেশাখোর স্বামীদের স্বেচ্ছায় তালাক দিয়ে চলে গেছেন। এ ছাড়া শুধু মাদক সেবনের কারণে পৈতৃক ভিটেমাটি, সহায়সম্পদ বিক্রি করে ৩০ জনেরও বেশি মাদকসেবী এখন ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছেন। সেখানে মাদকসেবীদের একেকটি পরিবার অভাব-দুর্দশা আর কষ্ট-যন্ত্রণার দহনে ধ্বংস হচ্ছে। প্রতিবেশীরাও হয়ে উঠেছেন সীমাহীন অতিষ্ঠ। স্থানীয় অভিভাবকদের কয়েকজন হতাশার সুরে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, আগে থেকে গুরুত্ব না দেওয়ায় মাদকদ্রব্যই মুগদাপাড়ার অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার অনেকেই নানা রকম মাদকে আসক্ত। সামাজিক মর্যাদা ও পরিচিতির কথা ভেবে মাদকসেবী স্বজনদের নানা নির্মমতা যতটা পারছেন তারা লুকিয়ে রাখছেন। তারা চেপে রাখছেন কষ্টকান্না। স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পরিচিত এক ডাক্তারের দুই ছেলে অরুণ মিয়া ও তরুণ মিয়া, উত্তর মুগদার রহিমুদ্দিনের দুই ছেলে নাসির আলী ও বাছির আলী এবং নাসির মাস্টারের ছেলের মাদক সেবনরত অবস্থায় বদ্ধ কক্ষে মরে পচে থাকার বিষয়টি এলাকাবাসীর মনে কঠিন দাগ কেটে আছে। নেশার কাছে বন্দী হয়ে ভাড়াটে যুবক মনসুর আলীর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহনন, বাংলা মদ সেবনে একই সঙ্গে হারুন ও নজর আলীর করুণ মৃত্যু এবং একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মানসিক ভারসাম্য হারানোর পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঘটনাও ভুলতে পারেন না মুগদাবাসী। হেরোইনসেবী ইউনুস মিয়া, বান্দর কাল্লু, পিচ্চি, সুমন, কাইল্যা লিটন, অদু, ফেনসিডিলসেবী বাবুল, কহিনুর, রতন মিয়া, আতিক, জুয়েল, হযরত করিম, মঞ্জু, অপু, ভেবল মিয়া, প্যাথেডিন গ্রহণকারী মামুন, গ্যারেজ-মালিক সিদ্দিক আলী, সাজ্জাদুল, কামাল, নাসির, জোনায়েদ, রবুর মতো তরতাজা যুবকরা একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এদের কারও কারও মৃত্যুতে একেকটি পরিবার রিক্ত-নিঃস্ব হয়ে গেছে, সন্তানরা পরিণত হয়েছে পথশিশুতে। মুগদায় বাড়ি-ভবনসহ বহু মূল্যের জমির মালিক আবদুর রহিম, বাবুল মিয়াদের মতো অনেকেই এখন আশ্রয়হীন ফকির।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর