শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মরল পুলিশের ছররা গুলিতে, তবুও আসামি আওয়ামী লীগ নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মরল পুলিশের ছররা গুলিতে, তবুও আসামি আওয়ামী লীগ নেতারা

রূপগঞ্জে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুমনের শরীরজুড়ে ছররা গুলির দাগ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সুমন মিয়া নিহতের ঘটনায় তার শাশুড়ি কাজল রেখা বাদী হয়ে ১৭ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ মামলায় রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি আলহাজ রফিকুল ইসলাম রফিককে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এতে এলাকার নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, এটা মিথ্যা মামলা। পুলিশের ছররা গুলিতে সুমনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ আসামি করা হলো আওয়ামী লীগ নেতাদের। আসামিদের অভিযোগ, স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর ইশারায় এটা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুপুরে হাবিবনগর এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোডে এমপি সমর্থিত নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে উদ্ভূত উত্তেজনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে। এতে ৫০ জন আহত হন। আহত সুমন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে দুটি গ্রুপ। একটি এমপি গাজীর সমর্থক, অন্যটি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া ও রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থক। এমপিবিরোধীরা বলছেন, গাজীর নির্দেশে সুমনের বাবা মনু মিয়া ও মা শাহিদা বেগম মিথ্যা অভিযোগে মামলা করতে রাজি না হওয়ায় সুমনের শাশুড়ি কাজল রেখাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বাদী হতে রাজি করানো হয়েছে। তারা বলছেন, সুমনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অনেক ছররা গুলির দাগ। ছররা গুলি তো পুলিশই ছুড়েছে। তাহলে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা কেন?

শাহজাহান ভূইয়া বলেন, ঘটনার দিন রফিকুল ইসলাম তো স্পটেই ছিলেন না। তার গানম্যানও স্পটে যাননি। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার মতলবে এমপি গাজী চক্রান্ত করে এই মামলায় মানুষকে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত।

সর্বশেষ খবর