মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভাসানটেক বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেক বস্তিতে আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় সব ঘর। আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, কাঠের গুদাম, এতিমখানা ও বেশ কয়েকটি আবাসিক ঘরও ছিল ওই বস্তিতে। তবে বস্তির সঙ্গে থাকা ৪০টি ফার্নিচার দোকান পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে ১৫ কোটি টাকার মতো— দাবি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। তবে পুলিশ বলছে, এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। রবিবার মধ্যরাতে লাগা এ আগুনে ব্যবসা সরঞ্জামসহ বস্তিতে থাকা সব মালামাল পুড়ে যাওয়াই নিঃস্ব প্রায় সেখানকার বাসিন্দারা। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাত ১২টার কিছুক্ষণ পর বেশির ভাগ মানুষ তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। দোকানপাট বন্ধ করে কর্মচারীরা বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় বস্তির একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বস্তিতে। আগুনের তীব্রতা বাড়ার কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুনে পুড়ে সবকিছু হারিয়ে দিশাহারা বস্তিবাসীরা জানান, এখানে থাকা কোনো কিছুই রক্ষা করতে পারেননি তারা। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ১৩টি ইউনিটের দুই ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়রা জানান, টিনের তৈরি এই বস্তিতে কাঠের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা, কাঠের গুদাম, পোশাকের দোকান, এতিমখানা ও কয়েকটি আবাসিক ঘর ছিল। যেখানে শতাধিক মানুষ রাত-যাপন করতেন। ভাসানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি ছাব্বির আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, বস্তিতে থাকা ইসলামিয়া জামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ঘরের কোণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কীভাবে আগুন লাগে তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আবদুস সোবহান নামে কাঠের এক ব্যবসায়ী জানান, বস্তির সঙ্গে লাগা রাস্তার পাশে ফার্নিচারের প্রায় সব দোকান পুড়ে গেছে। অর্ডারি মালামাল ও মজুদ রাখা সব কাঠ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানের পেছনে থাকা ঘরে বিছানাপত্র কিছুই রক্ষা করতে পারিনি আমরা। তবে বস্তিবাসীদের ধারণা, বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকে আগুন লাগতে পারে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করতে পারেননি।

সর্বশেষ খবর