বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

মেলাকেন্দ্রিক প্রকাশনা বেশি হয় বলে মান নষ্ট হচ্ছে

—সাঈদ বারী, সূচীপত্র

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

মেলাকেন্দ্রিক প্রকাশনা বেশি হয় বলে মান নষ্ট হচ্ছে

সৃজণশীল বইয়ের প্রকাশনা সংস্থা সূচীপত্র। গুণগতমানের বই প্রকাশের মাধ্যমে এই প্রকাশনা সংস্থাটি ইতিমধ্যেই দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনার কাতারে উন্নীত হয়েছে। এবারের মেলায় এই প্রকাশনা সংস্থার ৫০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। সূচীপত্রের স্বত্বাধিকারী সাঈদ বারী। নিজের প্রকাশনা ও গ্রন্থমেলা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর সঙ্গে।

গ্রন্থমেলায় বরাবরের মতো এবারও কোয়ালিটির চেয়ে কোয়ান্টিটি বেশি এই প্রসঙ্গে সাঈদ বারী বলেন, মেলাকেন্দ্রিক বই প্রকাশের প্রবণতা বেশি থাকার কারণে এমনটি হচ্ছে। দেখা যায় সারা বছরে ৫ ভাগ বই প্রকাশ হয় আর মেলাতেই প্রকাশিত হয় বাকি ৯৫ ভাগ বই। মেলায় সিজনাল লেখকদের আবির্ভাব বেশি ঘটে। সবাই মেলাকে টার্গেট করেই বই প্রকাশ করতে চায়। মেলা পরিচালনা নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এই প্রকাশক বলেন, একসঙ্গে অনেক কাজ করতে গিয়ে বাংলা একাডেমি কোনো কাজই সুচারুরূপে করতে পারে না। প্রকাশকদের ওপর যদি মেলা পরিচালনার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে মেলা আরও সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তির এই উন্নয়নের সময়ে কাগজের মলাটের বই পাঠকদের কতটুকু আকৃষ্ট করবে এমন প্রশ্নের জবাবে সূচিপত্রের স্বত্বাধিকারী বলেন, উন্নত বিশ্বে প্রযুক্তি তো আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, কিন্তু তাদের দেশে বইয়ের আবেদন একটুও কমেনি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রসহ বেশ কিছু সংগঠন বই পড়ার প্রতি জনগণকে উৎসাহী করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সরকারিভাবে বিভিন্ন স্কুল-কলেজেও যদি তেমন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেত তবে বইয়ের প্রতি পাঠকদের আগ্রহ আরও বেশি বৃদ্ধি পেত। তবে এটা ঠিক যে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা যতই বৃদ্ধি পেয়ে থাকুক বইয়ের আবেদন চিরন্তন। বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা কখনোই কমবে না। সফলতার দিক থেকে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারের মেলা অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে বলেও মনে করেন এই প্রকাশক।

সর্বশেষ খবর