বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপির অনশন ৩ ঘণ্টায় শেষ

ছাত্রদলের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে দলের ডাকা ছয় ঘণ্টার অনশন কর্মসূচি পুলিশের বাধার মুখে তিন ঘণ্টা আগেই শেষ করেছে বিএনপি। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল সকাল ১০টায় অনশন শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১টায় সে কর্মসূচি শেষ করে দলটি। এ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনশন চলার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুরোধের কারণে দুপুর ১টায় অনশন কর্মসূচি শেষ করা হয়েছে। এ সময় তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সব ধরনের দমননীতি পরিহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ষড়যন্ত্র করে বেগম খালেদা জিয়াকে বেশি দিন বন্দী করে রাখা যাবে না। দেশবাসী জেলের তালা ভেঙে হলেও তাঁকে মুক্ত করে আনবে। এদিকে ঢাকার বাইরে সারা দেশেও একই কর্মসূচি পালিত হয়। এর মাধ্যমে তিন দিনের কর্মসূচি শেষ হলো। অনশন কর্মসূচিতে নেতারা বলেন, সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এর পরিণতি শুভ হবে না। অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ছাত্রদল সভাপতি জহিরউদ্দীন তুহিনসহ পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তাকে শরবত পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ সময় রিজভীর সঙ্গে অনশনে ছিলেন বিএনপির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলামসহ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের পরিচালনায় অনশন কর্মসূচিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, নুরী আরা সাফা, মীর সরফত আলী সপু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তিন ঘণ্টার অনশনে অবস্থানকালে রাজধানীর আদাবর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের বাসায় পুলিশ দুই দফা হানা দেয় বলে অভিযোগ করে বিএনপি। কর্মসূচির শেষ মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এতে একাত্মতা জানাতে প্রেস ক্লাবে আসেন। পরে তিনি বিএনপি নেতাদেরকে পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনশন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের দিনব্যাপী অনশন আমরা দুপুর ১টার মধ্যে শেষ করতে বাধ্য হচ্ছি। এই সরকার আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে, বিএনপিকে দুর্বল করে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে চায়। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

মওদুদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায় মানি না। মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষের আজ স্বাধীনতা নেই। অথচ একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা আজকে হুমকির মুখে।

জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবদুল হালিম অনশনস্থলে এসে কিছুক্ষণ থেকে চলে যান। তিন ঘণ্টার এই অনশন কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন— ২০-দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জাগপার খন্দকার লুত্ফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির সাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক আখতার হোসেন খান, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, মুসলিম লীগের শেখ জলুফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করীম প্রমুখ। অনশন কর্মসূচি ঘিরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়। রাখা হয় জল কামানসহ বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান।

জেলা-উপজেলায় বিএনপির অনশন, বরিশালে রোজা পালন

টানা তিন দিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির শেষ দিনে সারা দেশে অনশন পালন করেছে বিএনপি। এর মধ্যে বরিশাল বিএনপি অনশনের পাশাপাশি রোজা পালন করেছে। কর্মসূচি পালনকালে নেতা-কর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের রায়কে ষড়যন্ত্রমূলক ও সাজানো আখ্যা দিয়ে তাদের মুক্তি দাবি করেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— বরিশাল : কঠোর পুলিশি বেষ্টনীতে নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন অশ্বিনী কুমার হলে মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী অনশন শুরু হয়। অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, এবায়েদুল হক চানসহ অন্য নেতারা। এ ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির বহু নেতা-কর্মী-সমর্থক রোজা পালন করেছেন।

সুনামগঞ্জ : শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় পালিত অনশনে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট ফজলুল হক আছপিয়া, কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, নূরুল ইসলাম নূরুল, আবদুল লতিফ জেপি, আকবর আলী, নাদির আহমদ, অ্যাডভোকেট মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল, সেলিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শেরেনূর আলী, আবুল মনসুর শওকত, আনিসুল হক প্রমুখ। রাজশাহী : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজশাহীতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গতকাল সকালে নগরীর ভুবন মোহন পার্কে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। বক্তব্য দেন নগর বিএনপি সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ জেলা ও নগরের নেতারা।

সিলেট : সিলেটে পুলিশের অনুরোধে নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা আগে অনশন কর্মসূচি শেষ করেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার সিলেটে রাষ্ট্রপতির সফরের কারণে পুলিশের অনুরোধে দুপুর ১২টায় ভাঙতে হয় অনশন। রেজিস্ট্রারি মাঠে অনশন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সম্পাদক দিলদার হোসেন সেলিম, সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. শাহরীয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের শামীম, আলী আহমদ, নাসিম হোসাইন, বদরুজ্জামান সেলিম, সালেহ আহমদ খসরু, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, আজমল বখত সাদেক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, এমরান আহমদ চৌধুরী, আবদুল আহাদ খান জামাল, মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।

কুমিল্লা : কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিন উর রশীদ ইয়াছিন। বক্তব্য রাখেন মো. মোস্তাক মিয়া, মাহাবুবুর রহমান ভুইয়া, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর রউফ চৌধুরী ফারুক, ভিপি জসিম, মোস্তাফা জামান, রেজাউল কাইয়ুম, হাজী মাসুক, হাজী সফিউল আলম রায়হান ও যুবদল নেতা ইউছুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ।

নেত্রকোনা : খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী নানা বিক্ষোভ কর্মসূচি চললেও নেত্রকোনা বিএনপির দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচি এ পর্যন্ত চোখে পড়েনি। তবে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে জেলা মহিলা দল তৃতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালন করে। শহরের মোক্তারপাড়া প্রেস ক্লাব সড়কে পাবলিক হলের সামনে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক ড. আরিফা জেসমিন নাহিনের নেতৃত্বে অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। ড. আরিফা জেসমিন নাহীন বলেন, অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। মিথ্যা বানোয়াট মামলা জনগণ বুঝে ফেলেছে। এসব করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপি জনগণের পাশে ছিল আগামীতেও থাকবে। এ সময় বিএনপি সদস্য রেবেকা আক্তার রুবী, আফিয়া বিলকিছ পান্না, আফরোজা মনসুর, নাসিমা বেগম, হালিমা খাতুন, ফাতেমা আক্তার ও সেলিনা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নরসিংদী : চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয় ও শিবপুরে কলেজ গেট এলাকায় অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন— সুলতান উদ্দিন মোল্লা, তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, বেগম রোকেয়া আহমেদ লাকী, জয়নাল আবেদিন, আবু সালে রিকাবদার, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। এদিকে একই দাবিতে মানববন্ধন করেছে নরসিংদী জেলা আইনজীবী ফোরাম। উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাছেদ ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের টিটু, অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা, অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা, অ্যাডভোকেট সিফাস হাসান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মেহেদী হাসান প্রমুখ।

বগুড়া : শহরের নবাববাড়ী সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপি অনশন কর্মসূচি শুরু করে। এ সময় নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বসে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে স্লোগান দেন। ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমান, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জয়নাল আবেদীন চান, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ শোকরানা প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সরাইলে উপজেলা শহীদ মিনারে অনশনে আনোয়ার মাস্টার, নাজমুল, নাজমুল আলম মুন্না, বায়িছ মিয়া, দুলাল মিয়া, ইসমাইল হোসেন, আবদুল জব্বারসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : বেলা ১১টায় সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে শহরের পাঠানপাড়ার দলীয় কার্যালয় চত্বরে অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হারুনুর রশীদ, তসিকুল ইসলাম তসি, মো. নজরুল ইসলাম, মীম ফজলে আজিমসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা। অনশনে নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

লক্ষ্মীপুর : প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী অনশন কর্মসূচি পালনকালে বক্তৃতা করেন— সাহাবুদ্দিন সাবু, অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, ছাইদুর রহমান চুট্টো, অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ। একই দাবিতে দলীয় কার্যালয়ে অনশন চলাকালে বক্তৃতা করেন আবুল খায়ের ভুঁইয়া, নিজাম উদ্দিন ভূইয়া, শাহীন, সৈয়দ রশিদুল হাসান লিঙ্কন, মাহবুবুর রহমান মামুন প্রমুখ।

মাগুরা : শহরের ভায়নার মোড়ে জেলা বিএনপির আয়োজনে অনশন কর্মসূচিতে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দ আলী করিমের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন আকতার হোসেন, মোহাম্মাদ আলী, সাখাওয়াত হোসেন, খান হাসান ইমাম সুজা, শাহেদ হাসান টগর, ফারুক আহম্মেদ বাবুল প্রমুখ।

নোয়াখালী : নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে অনশনে অংশ নেন গোলাম হায়দার, আ্যাাডভোকেট আবদুর রহমানসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর