শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

কালিজিরার নতুন উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

কালিজিরার নতুন উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানীরা কালোজিরার উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। ফলে কালিজিরার ফলন ও রপ্তানি দুই-ই বৃদ্ধি পাবে।

মসলা জাতীয় ফসল হলেও সারা বিশ্বে কালিজিরা ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয় ঔষধি ফসল হিসেবে। প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় দীর্ঘ গবেষণার পর বারির বিজ্ঞানীরা নতুন জাতটি উদ্ভাবনে সফল হলেন। বারি সূত্রে জানা গেছে, বারির মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু হেনা ফয়সাল ফাহিমের তত্ত্বাবধানে ২০০৫ সালে বগুড়ায় কালোজিরার নতুন উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনে গবেষণা শুরু হয়। প্রায় ১৩ বছর পর ২০১৭ সালের শেষে সফলতা আসে। নতুন জাতটিতে হেক্টর প্রতি ফলন বাড়বে প্রায় আধা টন। রোগ-বালাইয়েও আক্রান্ত হবে কম। নতুন জাতটির এখনো নামকরণ করা হয়নি। নামকরণের পর শিগগিরই জাতটি বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সিতে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। অনুমোদন পাওয়া গেলে অবমুক্তের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সহিদুজ্জামান জানান, প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরার আবাদ হলেও দেশে আগে এ নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা হয়নি বললেই চলে। আগে কালোজিরা শুধু মসলা হিসেবে ব্যবহূত হতো। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে ঔষধি ফসল হিসেবে। এ কারণে বেড়েছে চাহিদাও। চাহিদার কথা ভেবে সরকার দেশে কালোজিরার ফলন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বারির মসলা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা কাজ শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বরে নতুন জাতের বিষয়ে সফলতা এসেছে। তিনি আরও জানান, বারির গবেষণাগারে বর্তমানে কালোজিরার ৩০টি জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এসব জার্মপ্লাজমের সঙ্গে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও জামালপুর অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাত সংগ্রহ করে জার্মপ্লাজমগুলোর বৈশিষ্ট্যায়নসহ বৈচিত্র্য নির্ণয়ের জন্য ধারাবাহিক গবেষণা কার্যক্রম চলছে। 

বারির মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ জানান, মসলা গবেষণা কেন্দ্রে সংরক্ষিত দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা কালোজিরার জার্মপ্লাজমের সঙ্গে বারি কালোজিরা-১ এবং দেশীয় জাতের সংমিশ্রণের মাধ্যমে নতুন জাতটি পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর