মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

হেফাজতের নির্বাচন উচ্চাভিলাষ নেই

—— মাওলানা রুহী

হেফাজতের নির্বাচন উচ্চাভিলাষ নেই

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী বলেছেন, ‘হেফাজতে ইসলামের রাজনীতিতে যাওয়ার কিংবা নির্বাচন করার কোনো উচ্চাভিলাষ নেই। কারণ হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয়। একটা সম্পূর্ণ ইমান ও আকিদাভিত্তিক সংগঠন। এ সংগঠন বাংলাদেশের মানুষের নীতি-নৈতিকতার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’ তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের আঁতাত প্রসঙ্গে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম যখন ১৩ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করে, তখন একটি মহল বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তোলে। পরবর্তীতে তারা অভিযোগ তুলছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতের। হয়তো ভবিষ্যতে এই মহলটিই অভিযোগ করবে— হেফাজতে ইসলাম বামপন্থিদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। তবে কে কী অভিযোগ তুলছে— তা আমাদের চিন্তার মধ্যে নেই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা অন্য দলগুলোর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের বন্ধুত্ব কিংবা শত্রুতা নেই। আমরা নিজেদের মতো করেই ইমান-আকিদা রক্ষার আন্দোলন করে যাব।’ মাওলানা রুহী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মতো মিছিল কিংবা সমাবেশ করে না। হেফাজতে ইসলাম জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয়। আমাদের কর্মসূচিগুলো ইমান ও আকিদাকেন্দ্রিক। আমাদের কর্মসূচিগুলো শানে রেসালা সম্মেলন এবং ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।’ তিনি দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব-দূরত্ব থাকার বিষয়ে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ অসুস্থ। অনেকে আবার নানান ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন না। এ অনুপস্থিতি থাকাকে কেউ কেউ ভাবছে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আসলে হেফাজতে ইসলামে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নেই। সবাই আমির আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। সবাই আমিরের নির্দেশ মতো কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’ দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মাওলানা রুহী বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনা করলে দেশের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নেই। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা চাই আগামীতে গ্রহণযোগ্য এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। যে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। হেফাজতে ইসলাম চায় এমন একটি নির্বাচন হোক, যে নির্বাচনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’ তিনি কওমি সনদ স্বীকৃতি আইন প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকার এই সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে মূলা ঝুলিয়ে দিয়েছে। সরকারের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোষণা বাস্তবায়ন করবে না। আমাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বীকৃতি বাস্তবায়ন এবং সংসদে আইন পাস করা হোক।’

সর্বশেষ খবর