আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির অপরাধ চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। দণ্ডিত ফেরারি আসামিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ আবারও দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে এবং এ দেশে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। গতকাল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের রায়ের একটি অংশে আছে, বেগম খালেদা জিয়ার অপরাধ রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের শামিল। রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ যিনি বা যারা করেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের ভাগ্য নির্ধারিত। আদালতের সিদ্ধান্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন, সে অবস্থায় বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কোনো সুযোগ সরকারের নেই। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজদিখান থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ, কেওটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলী, যুবলীগ নেতা কবির আহম্মেদ প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালতের আদেশেই সবকিছু হবে। তারা এখন উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। আপিল করার পর আদালত যদি বেগম জিয়াকে নির্বাচন করার অনুমতি না দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগের কী করার আছে, সরকারের কী করার আছে। আজ যেখানে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের দায়, সেখানে যদি নির্বাচন করার যোগ্যতা তিনি অর্জন না করেন, তাহলে সেখানে সরকারের কিছু তো করার নেই। এখানে বিষয়টি আদালতের। এখানে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।