বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ

চবিতে প্রক্টর অফিসে ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদ, আটক নিজ অনুসারীদের মুক্তি ও প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। গতকাল সকালে এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। দুপুর ১২টায় অবরোধকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে সেখানে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একটি দল প্রক্টর অফিসে গিয়ে ভাঙচুর চালায় এবং প্রক্টরের ব্যবহূত গাড়ি ভাঙচুর করে। অন্য একটি দল পরিবহন দফতরে গিয়ে নয়টি শিক্ষক বাস ও তিনটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। বিকাল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল এবং প্রচুর পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তা ছাড়া চবিতে দায়িত্ব পালনকালে কয়েকজন সাংবাদিকের ওপরও হামলা করেছে চবি ছাত্রলীগের একাংশ। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা নিন্দা ও প্রতিবাদও করেছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতিনিধি জানান, সোমবার বিকালে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে রাতে টিপুর অনুসারীরা শাহজালাল ও সুজনের অনুসারীরা শাহ আমানত হলে সশস্ত্র অবস্থান নেন। রাত ১২টার দিকে পুলিশের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল দুটিতে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি এলজি ও বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে এবং টিপুর অনুসারী ১২ ছাত্রলীগ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর জেরে গতকাল সকালে চবির শাটল ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে দেন টিপুর অনুসারীরা। এ সময় তারা শিক্ষকদের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেন এবং তিন দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অবরোধকারীদের সুনির্দিষ্ট কোনো দাবি থাকলে তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে প্রক্টর অফিস, শিক্ষক বাস ভাঙচুর কোনো সমাধান হতে পারে না।

 কেউ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অন্যদিকে অবরোধের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সোমবারের ঝামেলার পর নিজেরা বসে সমাধান করে ফেলেছিলাম। কিন্তু রাত ১২টার পর হলে পুলিশ দিয়ে তল্লাশির নামে ছাত্রদের নির্যাতন ও ১২ ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আমরা আটক কর্মীদের মুক্তি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’

সর্বশেষ খবর