খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে আবার চাল বিক্রি চালু করা হচ্ছে। আগামী মার্চ থেকে সরকার এ কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতি দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা করে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। গতকাল খাদ্য অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানের সভাপতিত্বে খাদ্য অধিদফতর ও মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কামরুল ইসলাম বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ছয় লাখ মেট্রিক টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ইতিমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারের খাদ্যশস্য মজুদ আছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং বাকিটা গম।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, সবার সহযোগিতায় আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সফলভাবে অর্জন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সহযোগিতা কামনা করেন। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছিল। ওই বছর সারা দেশে এই কর্মসূচি নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি গুদামে চাল সংকটের কারণে কর্মসূচিটি স্থগিত করা হয়। সরকারি গুদামে চালের পরিমাণ ১০ লাখ টন অতিক্রম করার পর আবারও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির এই কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।
