শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রশ্ন ফাঁস মন্ত্রণালয় একা বন্ধ করতে পারবে না : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্ন তৈরি থেকে বণ্টন প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রায় দেড় লাখ মানুষ জড়িত। সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করার পরও কেউ না কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় একা প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে পারবে না। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসিতে নবম জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’র গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ব্র্যাক, এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এর আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অন্যদের মধ্যে শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম এবং এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজীশ আলী খান বক্তব্য দেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ আরও বলেন, প্রশ্ন ফাঁসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর দায় আসুক। কিন্তু জাতিকে যেন এর দায় নিতে না হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে একা পাহারা দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব নয়। শিক্ষক, অভিভাবক ও জনগণসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধ করতে হবে। পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসির পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নিতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে জোরালো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি। নাহিদ বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। শিক্ষাবিদ, উপদেষ্টাসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব আমরা। কিন্তু স্বল্পসময়ে এ পদক্ষেপ সম্ভব হবে না। শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, অনেকেই বলেন শিক্ষাব্যবস্থা পিছিয়ে গেছে। কিন্তু আসলে শিক্ষার মান কমেনি। এদেশের শিক্ষার্থীরাই বাইরে গিয়ে ভালো করছে। পাবলিক পরীক্ষা নেওয়াসহ সব দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের। শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুধু প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিয়ে থাকে। অনেকে বলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশ্ন ফাঁস বন্ধের সদিচ্ছা নেই। এগুলো অমানবিক। হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, পরীক্ষায় পাসের হার বাড়লেও শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁস, কোচিংনির্ভরতা, মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব, অবকাঠামোগত দুর্বলতাসহ নানাবিধ কারণে শিক্ষাব্যবস্থা এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। প্রশ্ন ফাঁসের অর্থ জোগানের জন্য অভিভাবকরা চাঁদা তুলে তহবিল গঠন করছে। এসব খবর গণমাধ্যমে দেখে লজ্জায় আমাদের মাথা নত হয়ে আসে। ‘শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারই পারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে’ শীর্ষক এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় বরিশালের বাবুগঞ্জে রাশেদ খান মেনন মডেল মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়। রানার আপ হয় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের ইসহাকপুর পাবলিক হাই স্কুল। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন ইসহাকপুর হাই স্কুলের দলনেতা শরীফা জাহান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর