সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

পুলিশের মতো হাতকড়া চায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র

অস্ত্র চান ডিএনসি কর্মকর্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের মতোই হাতকড়া চান মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মালিকরা এবং অস্ত্র চান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) কর্মকর্তারা। গতকাল সকালে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ডিএনসির উদ্যোগে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ও ডিএনসি কর্মকর্তারা এসব দাবি করেন। মতবিনিময় সভায় ডিএনসি কর্মকর্তা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ২০৯টি নিরাময় কেন্দ্রের মালিক ও তাদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ডিএনসি মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আতিকুল হক, জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ। উন্মুক্ত আলোচনায় মালিকরা দাবি করেন, যারা বেসরকারি উদ্যোগে মাদক নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তুলেছে তাদের জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত করা উচিত। যারা চিকিৎসা নিতে এসে ভালো হয়ে যাচ্ছে তাদের সব মামলা তুলে নেওয়া দরকার। মাদকসেবীদের কাজে লাগাতে ক্ষুদ্রঋণ প্রয়োজন। কোথাও বিব্রতকর পরিস্থিতি সামলাতে মালিকরা পরিচয়পত্র দাবি করেন। মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, মাদক বাড়ছে। বাড়ছে গ্রহীতা। দেশে মাদকসেবী রয়েছে ৭০ লাখ। এভাবে বাড়তে থাকলে এ বছর শেষে মাদকসেবীর সংখ্যা দাঁড়াবে এক কোটি। মাদক নিয়ন্ত্রণ না করতে না পারলে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তারা বলেন, ‘মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে বলেই আশা করি। রোগীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ফলোআপে রাখতে হবে।’ সরকারি উদ্যোগে চারটি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ২০৯টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র রয়েছে। ২৭টি জেলায় কোনো মাদক নিরাময় কেন্দ্র নেই। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ১০টি মাদক নিরাময় কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ৫০০ নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। ১০ দিনের মধ্যে অনলাইন পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। প্রতি চার মাস পর এ মতবিনিময় সভার সিদ্ধান্ত হয়। বিকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা সেবা) বৈঠক করেন। এতে কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাদের অস্ত্র দেওয়া দরকার। বাড়ানো দরকার সুযোগ-সুবিধা। এর উত্তরে ডিএনসি কর্মকর্তাদের কর্মতৎপরতা বাড়াতে বলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। তিনি ডিএনসি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

সর্বশেষ খবর