শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

সব দায়িত্ব দিতে হবে একটি প্রতিষ্ঠানকে

-—স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন

সব দায়িত্ব দিতে হবে একটি প্রতিষ্ঠানকে

নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন। যা আমাদের জন্য একেবারেই অসম্ভব। মহানগরে তিনটি ছিটমহল রয়েছে এয়ারপোর্ট, ক্যান্টনমেন্ট ও বিজিবি। এখানে সিটি করপোরেশন কোনো কাজ করতে পারে না। মশা তাড়ানোর নেতৃত্ব একটি প্রতিষ্ঠানকেই  দিতে হবে। ঢাকা মহানগরে সাত মন্ত্রণালয় ও ৫৪ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এদের কাজে কোনো সমন্বয় নেই। সবাই জনগণের সেবায় নিয়োজিত হলেও নিজেদের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান মনে করে। কারণ যৌথভাবে কাজ করার মানসিকতা কারও নেই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, ধানমন্ডি লেক সিটি করপোরেশনের অধীনে কিন্তু গুলশান লেক রাজউকের অধীনে। এরকম হলে মশা নিধন কি করে সম্ভব? সিটি করপোরেশন মনে করবে আজই মশা তাড়াতে কামান দাগানো হবে আর রাজউক লেকের পানিতে মশার বংশ বাড়াবে। তা তো হয় না। এককভাবে একটি প্রতিষ্ঠান সিটিকে নেতৃত্ব নিতে হবে। তারা অন্য প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেবে এবং কাজের মনিটরিং করবে। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে একসঙ্গে মশা উৎপাদন বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোকেও এই কাজে যুক্ত করা জরুরি। কারণ মশা সীমানা মানে না। মশা ২ থেকে ৩ কিলোমিটার উড়তে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মশার ওষুধ বিক্রি হচ্ছে এ বছর। কিন্তু এটি অত্যন্ত খারাপ। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ। মশা মারার চেয়ে বড় প্রয়োজন মশার জন্ম ও বংশ বিস্তার রোধ করা।

 শীতকালে ড্রেনে পানি জমে মশার জন্ম হয়। সিটি করপোরেশনের বাইরে ২০০’র বেশি জলাশয় রয়েছে যার মালিকানা অন্য প্রতিষ্ঠানের। এগুলো মশা উৎপাদনের কারখানা। বাড়ির ছাদেও পানি জমে মশার জন্ম হয়। ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোর মশার জন্ম ও বংশবৃদ্ধির সহায়ক পরিবেশ। এখানে খুব সহজেই মশার বিস্তার রোধ করা যায় কেরোসিন তেল দিয়ে। সিঙ্গাপুরের কোথাও যদি মশার জন্মস্থান পাওয়া যায় তাহলে এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। আর আমরা আজ এখানে তো কাল ওখানে মশার ওষুধ ছড়িয়েই দায়িত্ব শেষ করার চেষ্টা করি। এভাবে হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সর্বশেষ খবর