রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ বিদেশি উপদেশের জন্য তাকিয়ে নেই : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ বিদেশি উপদেশের জন্য তাকিয়ে নেই : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিদেশি কোনো উপদেশ ‘খয়রাতের’ দিকে তাকিয়ে নেই আওয়ামী লীগ। গতকাল রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় ৭ মার্চ আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করতে লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি, কেউ ধোয়া তুলসীপাতা নয়। যারা আমাদের উপদেশ দিচ্ছে, তাদের দেশের গণতন্ত্রের চেহারা, তাদের দেশের নির্বাচনের চেহারা, সেটা সারা দুনিয়া জানে, আমরাও জানি। কাজেই আমাদের উপদেশ দিতে হবে না। তিনি বলেন, সরকার অংশগ্রহণযোগ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য একটা নির্বাচন করবে। একটি ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জনগণের চাপকে গুরুত্ব দিই। দেশের নিয়ম অনুযায়ী দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন চলবে। কাজেই এ নিয়ে বাইরে থেকে কে চাপ দিল সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের নিয়ম ও সংবিধান অনুযায়ী একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারি অর্থ ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের কাছে যাওয়ার অধিকার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর আছে। এখনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি। এই প্রশ্নটা আসতে পারে তখনই, যখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। এ মুহূর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেসব উন্নয়ন করেছেন, সেগুলো জনগণকে অবহিত করার অধিকার তার আছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেবল প্রধানমন্ত্রী নন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীও। দলের সভানেত্রী হিসেবে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার অধিকার তার আছে। এখানে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। বিএনপির আন্দোলনের কৌশল মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের অবস্থানসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কৌশল তাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো বক্তব্য নেই। তাদের কৌশল যদি রাজনৈতিক হয়, তাহলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। তাদের কৌশল যদি সংঘাত-সহিংসতার দিকে যায়, তাহলে সহিংসতার জবাব কীভাবে দিতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে। রাজনীতি মোকাবিলা করব রাজনীতি দিয়েই। সহিংসতা মোকাবিলার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। তারা যখন যেটা দরকার সেটাই করবে।

এবারের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্মরণকালে সর্ববৃহৎ সমাবেশ করার লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের রাজনীতির ঐতিহ্য অনুসরণ করে প্রচার চালানো হচ্ছে। একসময় মাইকে জনসভার প্রচারণা হতো। সেটা এখন নেই। আওয়ামী লীগ ১ মার্চ থেকে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছে। এরপর পাড়া-মহল্লায়, বাড়িতে ও মার্কেটে সর্বত্রই হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে প্রচারণা করছে। এই হ্যান্ডবিলের প্রচারণাও এখন চোখে পড়ে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমাবেশে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। এ সময়ের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মুখে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর করণীয় এবং নির্বাচন সামনে রেখে দেশের স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে জনগণকে আহ্বান জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা ঘিরে জনগণের ভোগান্তি যতটুকু সম্ভব সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আবদুল হক সবুজ প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর