মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কথা রাখল না মিয়ানমার

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়িয়ে মিয়ানমার অহেতুক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। গত শুক্রবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সীমান্ত থেকে অতিরিক্ত সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সে কথা রাখেনি মিয়ানমার। নিরাপত্তার প্রয়োজনে সৈন্য সমাবেশ করতে হলে তা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আগেই জানানো হবে—এমন সিদ্ধান্ত হলেও বৈঠক শেষ হতে না হতেই শনিবার আবারও তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তে সৈন্য বৃদ্ধি করে মিয়ানমার। রবিবার কাঁটাতারের বেড়ার কাছেই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল দিয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনারা। সোমবারও একই অবস্থানে ছিল মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সদস্যরা। বিজিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করলেও বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকেও টহল এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তবে এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। গত তিন দিনের চেয়ে সোমবারের পরিবেশ অনেক স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীই মূল বাধা বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কৌশলগতভাবে সামরিক চাপ সৃষ্টির প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। দেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে, সেগুলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীই করেছে। কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি তাদের কাছেও যদি একটা কড়া বার্তা পৌঁছানো যায়, তাহলে আমার মনে হয়, এই সমস্যাটার আশু সমাধান হবে। তারা আন্তর্জাতিক আইন ও পতাকা বৈঠকের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে যাচ্ছে একের পর এক।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর