শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কিচিরমিচিরে মুখরিত দিন

জাতীয় প্রেস ক্লাবে পাখি মেলা

মোস্তফা মতিহার

কিচিরমিচিরে মুখরিত দিন

খাঁচায় বন্দী বাহারি রঙের বিদেশি পাখিতে অপরূপ সাজে সেজেছে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তন। বন্দীশালায় থেকে কিচিরমিচিরে মুখর সমগ্র মিলনায়তন। পাখিময় সেই পরিবেশে পাখির সঙ্গে অগণিত দর্শক সেলফি তোলেন। খাঁচার ভিতর নানা প্রজাতির বাহারি রঙের পাখির কলতানে আবহমান বাংলার চিরচেনা রূপই যেন ফুটে উঠেছে। শান্তির প্রতীক হিসেবে খ্যাত পাখির প্রতি মানুষের ভালোবাসা চিরকালীন। তবে প্রেস ক্লাবের চিত্রটায় সেই ভালোবাসা ছিল অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। দেশের টিয়া, ময়না, ঘুঘু,  কোয়েল, কোকিল, দোয়েল, শ্যামাদের সঙ্গে বাঙালির পরিচয় অনেক দিনের হলেও বিদেশি পাখির সঙ্গে এ দেশের মানুষ বলতে গেলে অপরিচিত। যার কারণে অ্যামাজন প্যারট, লাভবার্ড, ম্যাকাও, ককাটেল, জাপানিজ ক্রেস্টেড বাজরিগার, ক্যানারি বার্ড, স্প্লেনডিড প্যারাকিট, বুরকিজ প্যারাকিট, লরিকিট, আফ্রিকান গ্রে প্যারট, রোজেলাসহ ১৫০ প্রজাতির ১ হাজার ৫০০ পাখি দেখতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। এভিকালচারাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের আয়োজনে ‘খাঁচায় পুষুন খাঁচার পাখি-বনের পাখি বনে’ স্লোগানে বিদেশি পোষা পাখির এ প্রদর্শনী গতকাল শেষ দিনে আলোড়িত করেছে পাখিপ্রেমীদের। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসা আমিনা অবন্তী জানান, ‘সব ধরনের পাখিই আমার ভালো লাগে। যার কারণে এই প্রদর্শনীতে আসা। আমরা সবসময় দেশি পাখি দেখে অভ্যস্ত, বিদেশি পাখির বিষয়ে আমাদের জানাশোনা কম। এ প্রদর্শনীতে এসে বিদেশি পাখি দেখলাম এবং পাখিদের সঙ্গে সেলফি তুললাম। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।’ আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ডা. আমজাদ চৌধুরী বলেন, ‘এ দেশের মানুষকে বিদেশি পাখির সঙ্গে পরিচিত করে তুলতে ও পাখির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই বরাবরের মতো এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের প্রদর্শনীটি আমাদের নবম আয়োজন। এবার আমরা ১৫০ প্রজাতির ১ হাজার ৫০০ পাখির সমাবেশ ঘটিয়েছি। ভবিষ্যতে প্রজাতির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বৈচিত্র্যও থাকবে।’ ৮ মার্চ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শুরু হয় দুই দিনের এ প্রদর্শনী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর