শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে যাবে জামায়াত

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

নিবন্ধন জটিলতায় দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ না থাকলেও আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র অংশ নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। বর্তমান রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও এসব পদ ধরে রাখতে মরিয়া জামায়াত। এ কারণে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা মাথায় নিয়েও প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ১২ মার্চ ও  প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মার্চ। জানতে চাইলে ভাটারা থানা মজলিসে শূরা সদস্য আবদুর রহমান খোকা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জামায়াতে ইসলামীর ৩ মাস আগে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনে অংশ নেবে। সে অনুযায়ী স্থানীয় নির্বাচনের জন্য সারা দেশে জামায়াতের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, তারই ধারাবাহিকতায় ২৯ মার্চের স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জামায়াত। তবে জোটগতভাবে সমঝোতা হলে জামায়াত আসন ছেড়ে দেবে। জামায়াত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে দমন-পীড়নের আশঙ্কায় ২৯ মার্চের স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করা জামায়াতের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেননি আবদুর রহমান। জানা যায়, ২৯ মার্চ ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সাধারণ, ৫৩টি ইউপিতে উপনির্বাচন, চারটি পৌরসভায় সাধারণ, একটি পৌরসভায় মেয়র পদে ও চারটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন, চট্টগ্রাম ও খুলনা সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডে উপনির্বাচন, দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হবে। জামায়াত নেতা-কর্মীরা জানান, ২৯ মার্চ যেসব ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় নির্বাচন হচ্ছে তার অনেকগুলোতেই জামায়াতের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ছিলেন। তাই জামায়াত তাদের দখলে থাকা আসনগুলো হাতছাড়া করতে নারাজ বলে অতীতে প্রতিনিধি ছিলেন যারা তাদেরই আবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও প্রার্থীদের যোগ্যতা, আঞ্চলিক ক্ষমতা, স্থানীয় প্রভাব এবং ভোটের হিসাব মাথায় রেখে সামাজিকভাবে যাদের অবস্থা ভালো তাদেরকেও এবার প্রার্থী করা হয়েছে। তারা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা ২৯ মার্চের স্থানীয় নির্বাচনকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং কীভাবে বিজয় নিশ্চিত করা যায় সে নীতি অবলম্বন করেছেন। তারা বলছেন, দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে না পারলে স্বতন্ত্রভাবে জামায়াতের সব প্রার্থী যেন একই প্রতীক পেতে পারেন সে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এ ছাড়া ন্যূনতম ৫০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় যেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সমঝোতা চায় জামায়াত। চায় জোটের প্রধান দল বিএনপির সমর্থন। তারা বলেন, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চার দফায় ৩৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয় জামায়াত। ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির সাফল্য চমৎকার। এই পদে জয়ী হয়েছেন ১০৯ জন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ৩১টি উপজেলায়।

সর্বশেষ খবর