মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উৎকণ্ঠা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিচয় ও বর্তমান অবস্থা জানতে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন স্বজনরা। এ দুর্ঘটনায় দেশজুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে যাত্রীদের শেষ ছবি ও লেখা। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রভাষক ইমরানা কবির হাসিও ছিলেন এই ফ্লাইটে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী রকিবুল হাসান। হাসির বাড়ি টাঙ্গাইলে। তিনি যাত্রার আগে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভ্যাকেশন স্টার্টস নাউ’। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে হাসি ও রকিবুলের স্বজনরা রয়েছেন উদ্বেগের মধ্যে। এ ফ্লাইটেই যাত্রী ছিলেন সানজিদা বিপাশা, রফিক জামান রিমু ও তাদের ছয় বছর বয়সী ছেলে অনিরুদ্ধ। বিপাশা বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জনসংযোগ শাখার দায়িত্ব পালন করেন। একসময় সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত রিমু কাজ করেন প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে। গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পিয়াস রায়ও এ ফ্লাইটে ছিলেন। যাত্রার একটি ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘টাটা মাই কান্ট্রি, ফর ফাইভ ডেজ। হেইলিং টু দ্য ল্যান্ড অব দ্য এভারেস্ট’। ফ্রিল্যান্সার ফটোগ্রাফার এফ এইচ প্রিয়ক স্ত্রীর সঙ্গে বেড়াতে একই ফ্লাইটে যাচ্ছিলেন কাঠমান্ডু। যাওয়ার সময় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, ‘রেডি টু ফ্লাই কাঠমান্ডু। প্লিজ কিপ আস ইন প্রেয়ার’। তার স্ত্রীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন নেপালে অবস্থানকারী তাদের স্বজনরা। পরিকল্পনা কমিশনের দুই কর্মকর্তা নাজিয়া আফরিন চৌধুরী ও বেগম উম্মে সালমাও ছিলেন এ ফ্লাইটে। তারা একটি কর্মশালায় অংশ নিতে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন। এদিকে ইউএস-বাংলার বারিধারা কার্যালয়ে বাড়ছে স্বজনের ভিড়। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তারা।

সর্বশেষ খবর