মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ত্রিভুবনে যত দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দুর্ঘটনার জন্য অধিক পরিচিত। এই বিমানবন্দরে এর আগেও বহু বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। একের পর এক বিমান দুর্ঘটনার কারণে এ বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা নিয়ে প্রায়শই আলোচনা হয়। সূত্র : বিবিসি বাংলার। ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি কাঠমাণ্ডু উপত্যকায় এবং শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে। বিমানবন্দরটিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো বিমান অবতরণের পর থেকে এ পর্যন্ত ৭০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বিমানের পাশাপাশি সেখানে হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত হয়েছে।

গতকাল বাংলাদেশি একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর নেপালে বিমান চলাচলে নিরাপত্তার দুর্বলতার বিষয়টি আবারও চোখের সামনে চলে এলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে তাদের সমালোচনা হয়েছে। উইকিপিডিয়া বলছে, নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু হওয়ার কিছু দিন পরই একটি দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৭২ সালের মে মাসে। থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান অবতরণ করার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। তাতে ১০০ জনের মতো যাত্রী ও ১০ জন ক্রু ছিল। তাদের একজন নিহত হন। ১৯৯২ সালে থাই এয়ারওয়েজের একটি এয়ারবাস অবতরণ করার জন্যে বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১১৩ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হয় আরও একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা। পিআইএর বিমানটি বিধ্বস্ত হলে বিমানের ভিতরে থাকা ১৬৭ জনের সবাই প্রাণ হারান। ১৯৯৫ সালে রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বেষ্টনী ভেঙে মাঠের ভিতরে ঢুকে যায়। তাতে দুজন নিহত হন। লুফথানসার একটি বিমান এয়ারপোর্ট থেকে উড়াল শুরু করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। তাতে পাঁচজন ত্রুদ্ধ সদস্য নিহত হন। এটি ঘটেছিল ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নেকন এয়ারের একটি বিমান ত্রিভুবন বিমান বন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় একটি টাওয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে কাঠমাণ্ডু থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি অরণ্যে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১০ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রুর সবাই নিহত হন। ২০১১ সালে বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান বিমান বন্দরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় ১৯ জন আরোহীর মধ্যে একজন শুরুতে প্রাণে বাঁচতে সক্ষম হলেও পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান। বলা হয় খারাপ আবহাওয়া ও নিচুতে থাকা মেঘের কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ২০১২ সালে সিতা এয়ারের একটি বিমান উড্ডয়নের পরপরই সম্ভবত একটি শকুনের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৯ জন আরোহীর সবাই মারা যান। ২০১৫ সালে তুর্কী এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ঘন কুয়াশার মধ্যে নামতে গিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়ে। ৩০ মিনিট ধরে এটি বিমানবন্দরের ওপর উড়তে থাকে। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় নামতে পারলেও সেটি রানওয়ের থেকে ছিটকে মাঠের ঘাসের ওপর চলে যায়। ২২৭ জন যাত্রীকে সেখান থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। ২০১৭ সালের মে মাসে দুর্ঘটনায় পড়ে সামিট এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। আর সর্বশেষ দুর্ঘটনার শিকার হলো বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর